কালিয়াকৈর উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়নের ঢোলসমুদ্র এলাকায় প্রাচীন মসজিদের ধবংসাবশেষ আবিষ্কৃত হয়েছে। চলমান প্রত্নতাত্তি্বক খনন ও গবেষণায় এ পর্যন্ত আবিষ্কৃত স্থাপনা ও তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে মসজিদটি সুলতানি আমলের তৈরি বলে গবেষকরা ধারণা করছেন। এটি প্রায় ৬০০ বছর আগের মুসলিম আমলে গড়া মসজিদ। দেখা যায়, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের সফিপুর বাজার থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরের ঢোলসমুদ্র গ্রামটি।
প্রায় দুই মাস ধরে প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের ঢাকা আঞ্চলিক বিভাগের উদ্যোগে ১০-১২ জন শ্রমিক নিয়ে প্রত্নতাত্তি্বক খনন ও গবেষণার কাজ শুরু করে। খননে মাটির তলা থেকে বেরিয়ে আসছে একের পর এক ইটের তৈরি নকশায় নিদর্শন, দেয়ালের বাইরে হাতে কাটা ইটের জালি নকশা ও বিভিন্ন স্থাপনা। এছাড়া এবার সন্ধান মিলল বিভিন্ন কারুকাজ দিয়ে তৈরি একটি মসজিদের ধবংসাবশেষ।
প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের ঢাকা আঞ্চলিক অফিসের গবেষক জানান, ওই গ্রামের এই সুউচ্চ ঢিবির চারটি জায়গায় প্রত্নতাত্তি্বক খনন চালানো হলে সেখানে খ্রিস্টীয় ত্রয়োদশ বা চতুর্দশ শতাব্দীতে নির্মিত এই মসজিদের ধবক্ষংসাবশেষ উন্মোচিত হয়েছে। আট মিটার দৈর্ঘ্য ও ৮ মিটার জায়গাজুড়ে বিস্তৃত মসজিদটির ধবক্ষংসাবশেষ উন্মোচিত হলেও পশ্চিম-উত্তর, পশ্চিম-দক্ষিণ ও পূর্ব-দক্ষিণ কোণার পিলারের অংশবিশেষ ছাড়াও প্রায় আড়াই মিটার উঁচু ও পশ্চিমমুখী দরজা এবং প্রায় পৌনে দুই মিটার প্রশস্ত দেয়াল অক্ষত রয়েছে।
তিনি বলেন, প্রায় দেড়-দুই বছর আগে ঢোলসমুদ্র গ্রামের উঁচু ঢিবির এই জায়গাটি নির্ধারণ করা হয়। স্থানীয় লোকজনের সমর্থনেই এই উঁচু ঢিবিতে প্রথম খনন কাজ শুরু করা হয়। খননের শুরুতে মনে হয়েছিল পাল আমলের নিদর্শন। প্রায় দুই মাসের খননে এই প্রত্নস্থানে এ পর্যন্ত যে নিদর্শন কয়টি স্থাপনা ও স্থাপনাংশ আবিষ্কৃত হয়েছে, তা দেখে সুলতানি আমলের মসজিদের ধক্ষংসাবশেষ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। রাজশাহীর বাঘা মসজিদেরও এরকম টেরাকোটা ও ইটের ব্যবহার রয়েছে। সরকারিভাবে এগুলো সংরক্ষণ করার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা চলছে।
COMMENTS