কালীগঞ্জে হামীম গ্রুপের বিরুদ্ধে নিয়মনীতি না মেনে সীমানা প্রাচীর তৈরির ক্ষেত্রে বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে রোববার সকালে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এমপিসহ স্থানীয় প্রশাসনের কাছে স্মাবারকলিপি প্রদান করেছে ভূক্তভোগী এলাকাবাসী।
জানা যায়, এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃহৎ কটন মিল হলো কালীগঞ্জের মসলিন কটন মিল লিমিটেড। দীর্ঘ প্রায় দুইযুগ বন্ধ থাকার পর গত বছরের শেষের দিকে হামীম গ্রুপের কর্ণধার একে আজাদ চৌধুরী মিলটি ক্রয় করেন। হামীম গ্রুপ মিলটি কেনার পর সীমানা প্রাচীর তৈরির ক্ষেত্রে নিয়মনীতি না মানার অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কালীগঞ্জ পৌরসভার শেষ সীমান্তে ভাদার্ত্তী গ্রাম অবস্থিত। পূর্বে কটন মিল থাকা অবস্থায় মিলের নিজস্ব ড্রেনেজ ব্যবস্থায় ময়লা আবর্জনা ও বৃষ্টির পানি নামানো হতো শীতলক্ষ্যা নদীতে। তৎকালীন মসলিন কটন মিলের ড্রেনেজ ব্যবস্থার সঙ্গে পৌরসভার সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ ভাদার্ত্তী গ্রামের মানুষ পাইপের মাধ্যমে ময়লা আবর্জনা ও বৃষ্টির পানি নামাতো। কিন্তু বর্তমানে হামীম গ্রুপ মিলটি ক্রয় করার পর এলাকার বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীর স্বার্থের কথা চিন্তা না করে মসলিন কটন মিলের পূর্ব সীমানা ছেড়ে নতুন ভাবে সীমানা প্রাচীর তৈরির পরিকল্পনা করছে। আর এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে এলাকার হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে ময়লা আবর্জনার কারণে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হবে।
মানুষ আক্রান্ত হবে পানি বাহিত বিভিন্ন রোগে। তাছাড়া এলাকাটি পৌরসভার অধীনে থাকায় ভবিষ্যতে ওই এলাকায় ময়লা-আবর্জনা সম্প্রসারণের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থার কাজও ব্যাহত হবে। তাই এলাকাবাসীর দাবি হামীম গ্রুপের সীমানা প্রাচীর তৈরির পরিকল্পনা মসলিন কটন মিলের পূর্বে সীমানায় করা হক।
এলাকাবাসী প্রতিবেদককে আরো জানান, তারা ন্যায়সঙ্গত দাবি নিয়ে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এমপিসহ স্থানীয় প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন।
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুল আহ্সান তালুকদার বলেন, ‘হামীম গ্রুপের সংশ্লিষ্ঠদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। খুব শিগগিরই তাদের চিঠি প্রদান করা হবে, নতুন সীমানা প্রাচীর তৈরির পরিকল্পনা বাতিল করে পূর্বের সীমানায় পরিকল্পনা করার জন্য। হামীম গ্রুপের কনসালটেন্ট মাহফুজ হক জানান, স্মারকলিপির ব্যাপারে আমরা এখনো কিছু জানিনা তবে জানতে পারলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
COMMENTS