সরকারকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, সময় থাকতে যদি না সরেন তা হলে পরবর্তীতে আপনাদের আরো বেশি মাশুল দিতে হবে। আমি সরকারকে বলতে চাই সন্ত্রাস বন্ধ করুন। পুলিশ ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে বলুন তাদের নিয়মতান্ত্রিক দায়িত্ব পালন করতে।
রোববার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নির্বাচনের আগে-পরে যৌথবাহিনীর হাতে গুম ও খুনের ঘটনার একদিন বিচার হবে বলেও প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও ১৯-দলীয় জোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
তিনি বলেন, অনেকে বলছে আমরা নির্বাচনে না গিয়ে ভুল করেছি। কিন্তু আমি বলি আমরা নির্বাচনে না গিয়ে সঠিক কাজটি করেছি। আওয়ামী লীগের অধীনে যে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারেনা তা প্রমাণিত হয়েছে।
আমরা নয় আওয়ামী লীগই বিদেশিদের কাছে ধর্ণা দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
আওয়ামী লীগ কী প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ চায় যে কোনো মূল্যে ক্ষমতায় টিকে থাকতে। আজকে পুলিশ-র্যাবকে আওয়ামী লীগের কর্মীদের মতো ব্যবহার করা হচ্ছে। এই হলো অবস্থা। সারাদেশে হত্যা, খুন, গুম ও ধর্ষণ চলছে। প্রশাসনে যোগ্যতা, দক্ষতা দেখা হচ্ছেনা। দেখা হচ্ছে কে কতটা আওয়ামী লীগ। এই হলো দেশের অবস্থা। এইভাবে দেশ চলতে পারেনা।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের দুর্নীতিতে সারাদেশ ছেয়ে গেছে। আজ হলমার্ক, বিসমিল্লাগ গ্রুপ, শেয়ার মার্কেট ও ডেস্টিনি সর্বত্রই আওয়ামী লীগ দুর্নীতি করেছে। পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির কারণে আর্ন্তজাতিকভাবে আমাদের জন্য দেয়া বরাদ্দ অর্থ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। দেশে কোনো বিনিয়োগ নেই। বিদেশিরা কেউ আসছে না এদেশে বিনিয়োগ করতে।
তিনি বলেন, সারাদেশে ছাত্রলীগ-যুবলীগ অস্ত্রের মহড়া দিলেও তাদের না ধরে বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। ফাঁসির আসামিদের ছেড়ে দিচ্ছে। খুনীদের ছেড়ে দিচ্ছে অথচ বিএনপির নেতাকর্মীদের আটক করা হচ্ছে। এই হলো আওয়ামী লীগ।
খালেদা জিয়া বলেন, ‘বিচার বিভাগকে স্বাধীন বলা হলেও আসলে স্বাধীন নয়। আমরা কোনোদিন বিচার বিভাগে হস্তক্ষেপ করিনি। তারা স্বাধীনভাবে চলেছে। কিন্তু আজ বিচারকরা আওয়ামী লীগের গতিতে চলছে। এ আওয়ামী লীগ দেশের সবগুলো প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।’
COMMENTS