নারী সমস্যা শুধু নারীদের না এটা গোটা সমাজের সমস্যা বলে মন্তব্য করেছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি।
রোববার ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আর্ন্তজাতিক নারী দিবস উপলক্ষে ‘মিট দ্যা রির্পোটাস’ অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন।
‘মিট দ্যা রির্পোটাস’ অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘নারীর প্রতি যে সহিংস আচরণ করা হয় তা সমাধানে সবার আগে পুরুষদের এগিয়ে আসতে হবে। কারণ এ সমস্যা শুধু নারীর একার নয়। এ সমস্যা গোটা সমাজের। দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারীকে বাদ দিয়ে কখনো সমাজের উন্নয়ন সম্ভম নয়।’
তিনি আরো বলেন, ‘নারীদের প্রতি পুরুষদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন না হলে দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে না।’
বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীদের উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের এমন কোনো সেক্টর নেই যেখানে নারীর অবদান নেই। নারীরা প্রতিটি ক্ষেত্রে অবদান রেখে নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ তারা দিয়েছে। সর্বস্তরেই নারীরা এখন কাজ করছে। একদিন তারা সেনাপ্রধানের ভূমিকাও পালন করবে।’
অনেকে প্রশ্ন করে নারী দিবস পালন করা বৈষম্য কি না? এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘প্রাচীন কাল থেকে নারীরা অন্ধকার জগতের মধ্যে আছে। তাদের আলোর পথ দেখানোর জন্য বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে নারী দিবস একটি। যখন নারীর প্রতি সকল বৈষম্য বন্ধ হবে। তখন আর নারী দিবস পালন করার প্রয়োজন নেই।’
জেন্ডার সংবেদনশীল কর্মপরিবেশ সৃষ্টিতে একটি চিঠিই যথেষ্ট, না এর সঙ্গে মনিটরিং সেল গঠন করা হবে? এর উত্তরে চুমকি বলেন, ‘প্রতিটি সেক্টরে নারীদের লাঞ্ছিত করা হয়। এ জন্য সরকার জেন্ডার সংবেদনশীল কর্মপরিবেশ সৃষ্টি করে দিতে প্রতিটি কর্ম সেক্টরে চিঠি দিয়েছে।’
চিঠিগুলো বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না তার জন্য মনিটরিং সেল গঠন করা হবে বলে আশা করেন তিনি।
নারী দিবসকে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হবে কি না জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘নারী দিবসে সরকারি ছুটি ঘোষণা করার বিষয়ে সরকার এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেননি। ছুটির থেকে আমাদের কাজের দিকে বেশি মনোযোগ দিতে হবে। ছুটির ক্ষেত্রে আমাদের মানসিকতা এখনও তৈরি হয়নি। আমাদের আরো সচেতন হতে হবে।’
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন ডিআরইউয়ের সভাপতি শাহেদ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, নারী বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দা শাহানা লুৎফা প্রমুখ।
COMMENTS