পাঁচ হাজার ৯৯১ জন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার তালিকা সংরক্ষিত তাকলেও বাকি শহীদদের পূর্ণ তালিকা আজ পর্যন্ত সংগৃহীত হয়নি বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তবে বিভিন্ন গবেষকরা এ ব্যাপারে বেসরকারি উদ্যোগে কাজ করছেন। মন্ত্রণালয় ওই সূত্র থেকে সংগৃহিত তালিকা প্রস্তুত করার উদ্যোগ নিযেছে বলে জানান মন্ত্রী।
রোববার দশম জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে এস. এম. আবুল কালাম আজাদের এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী সংসদকে এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, “হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, বিশ্বের নির্যাতিত ও নিপীডিত মানুষের মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে দেশের সকল শ্রেণী-পেশার আপামর মানুষ ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ্রগ্রহণ করেছিলেন। পাক হানাদার বাহিনী কর্তৃক নিহত ৩০ লাখ শহীদ ও দুই লাখ মা বোনের ত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি একটি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।”
তিনি বলেন, “বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরঙ্গানাদের এ জাতি মনে রাখবে আজীবন, স্মরণ করবে অনন্তকাল। আগত প্রজন্মের কাছে মুক্তিযোদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরে তাদের মুক্তিযোদ্ধের চেতনায় উদ্ধুদ্ধ করার প্রচেষ্ঠা আমরা অব্যাহত রেখেছি।”
মন্ত্রীর দেয়া তথ্য থেকে দেখা যায় বেসামরিক শহীদ পরিবারের সংখ্যা দুই হাজার ৯৯১ জন। পুলিশ ৪০৫ জন। বিজিবি ৮১৬ জন। সশস্ত্র বাহিনী (বিমান,নৌ, সেনা) এক হাজার ৬০৭ জন। খেতাবপ্রাপ্ত ( বিভিন্ন বাহিনীর) ১৭২ জন। মোট পাঁচ হাজার ৯৯১ জনের শহীদের নাম নাম মুক্তিযোদ্ধে তালিকা সংরক্ষিত আছে।
এ ছাড়া বাকি শহীদগনের পূর্ণ তালিকা আজ পর্যন্ত সংগৃহীত হয়নি। তবে বিভিন্ন গষেকবৃন্দ এ ব্যপারে বেসামরিক উদ্যোগে কাজ করেছেন। মন্ত্রনালয় ওই প্রাপ্ত সূত্র থেকে সংগৃহীত তালিকা প্রস্তুত করার উদ্যোগ নিয়েছে। বীরাঙ্গনাদের পূর্ন তালিকা সংগৃহীত নেই। তবে, এ ব্যাপারে মন্ত্রণালয় উদ্যোগ নিয়েছে।
আরেক সংসদ সদস্য এ.কে এম শাহজাহান কামাল এর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে রাষ্ট্রপতির আদেশ নং (পি. ও .৯৪) এর মাধ্যমে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের কল্যাণার্থে বাংলাদেশ কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করেছিল। প্রতিষ্ঠাকালে ৩২টি শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান এ ট্রাস্টের নিকট হস্তান্তর করেন। উক্ত ৩২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বর্তমানে তিনটি প্রতিষ্ঠান চালু আছে।”
COMMENTS