এবার সড়কে চলতে হলেও টোল দিতে হবে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনে সারা দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক, জেলা ও গুরুত্বপূর্ণ সড়ক-মহাসড়ক ব্যবহারের জন্য টোল আদায়ের নিয়ম করেছে সরকার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই ‘টোল নীতিমালা-২০১৪’ এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়।
এই টোলের পরিমাণ সর্বোচ্চ এক হাজার টাকা। সর্বনিম্ন পাঁচ টাকা। বড় বাস-ট্রাকের পাশাপাশি সাইকেল ব্যবহারের জন্যও টোল দিতে হবে। টোল থেকে পাওয়া টাকা জমা হবে সড়ক উন্নয়ন তহবিলে।
এসব নিয়ম-কানুন করে টোল নীতিমালা ২০১৪-এর খসড়া চূড়ান্ত করেছে সরকার। শিগগিরই এ নিয়ম কার্যকর হবে।
মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদের সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা সরকারের এই সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা প্রসঙ্গে বলেন, ‘এটা হচ্ছে সার্ভিস। সার্ভিসের জন্য টোল দিতেই হবে।’
মন্ত্রিপরিষদসচিব জানান, ২০০-৫০০-৭০০-১০০০ মিটার সেতুর জন্য আলাদা করে টোল নির্ধারণ করা হবে। ১৩ ধরনের যানবাহনের জন্য টোল দিতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ যানবাহনের জন্য যদি ৪০০ টাকা টোল হয়, তবে ভারী ট্রাকের জন্য তা ২০০ শতাংশ বেশি অর্থাৎ ৮০০ টাকা হবে। এ ছাড়া ট্রেলারের জন্য ২৫০, বড় বাসের জন্য ৯০, মিনি ট্রাকের জন্য ৭০, কৃষিকাজে ব্যবহৃত যানবাহনের জন্য ৬০ ও মাইক্রোবাসের জন্য ৪০ শতাংশ টোল দিতে হবে। আঞ্চলিক মহাসড়কের ক্ষেত্রে টোলের পরিমাণ কমে অর্ধেকে নামবে।
মন্ত্রিপরিষদসচিব জানান, তিন বছর পর পর টোল সংশোধন করা হবে। ও/এম (অপারেশন ম্যানেজমেন্ট), ইজারা ও বিভাগীয়ভাবে এই টোল আদায় করা হবে।
সচিব জানান, টোল আরোপযোগ্য স্থাপনা চিহ্নিত করে কীভাবে আদায় করা হবে, টোলের টাকা কীভাবে ও কোথায় জমা হবে, কোন নির্ণায়কের ভিত্তিতে টোল নির্ধারণ করা হবে- এসব বিষয়ে নীতিমালায় বিস্তারিত বলা আছে।
তিনি বলেন, টোল আদায়ের পদ্ধতিকে স্বচ্ছ, আধুনিক ও যুগপোযগী করতেই এ নীতিমালা। টোল আদায় পদ্ধতির সঙ্গে মিনিটরিং ব্যবস্থাও শক্তিশালী করা হবে।
COMMENTS