শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নাধীন বরামা পূর্ব নামাপাড়া এলাকায় জনৈক হাছেন মিয়ার ওয়ারিশদের বেধড়ক মারপিট করে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে শ্রীপুর থানা পুলিশের বিরুদ্ধে। পুলিশ কর্তৃক জমি দখলে বাধা দেয়ায় বিনা মামলা ও গ্রেফতারী পরোয়ানা ছাড়া ৬ বৃদ্ধাকে গ্রেফতার করে।
ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর প্রত্যক্ষদর্শী শতশত মানুষ অভিযোগ করেন, ১৬ মার্চ রোববার বিকাল ৩টায় স্থানীয় ডেলকট এনভায়রেনমেন্ট সেন্ট্রাল সার্ভিসেস লিমিটেড এর পক্ষে পুলিশের ২৫ জন কনস্টেবল, ৩ কর্মকর্তা উপস্থিত হয়ে রোকেয়া বেগমের নির্মিত ঘরে প্রবেশ করে ঘরের মালামাল তছনছ করে। এসময় ঘরের ভিতরে সবাইকে বের হয়ে যেতে বলে। না গেলে পুলিশ আইনগতভাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে বলে হুমকি দিলেও না যাওয়ায় ঘরে এবং এর আশপাশে অবস্থানরত হোসেন আলীর স্ত্রী তাসলিমা (৪২), নুর মোহাম্মদের স্ত্রী রোকিয়া (৪৫), আব্দুস ছাত্তারের স্ত্রী খোদেজা (৫০), হাবিজ উদ্দিনের স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন (৩৮), আব্দুস ছামাদের স্ত্রী রোজিনা আক্তার (৫০) ও মোহাম্মদ কালাম মিয়ার স্ত্রী রাহিমা (৩৫) কে উপস্থিত লোকজনের সামনে বেপরোয়াভাবে লাঠি দিয়ে মারধর করে বেআব্র“ অবস্থায় গাড়িতে উঠিয়ে থানায় নিয়ে যায়। থানায় নেয়ার পর মহিলা হাজতের ভিতর রেখে শ্রীপুর থানার এস.আই জুবাইদুল পা দিয়ে পাড়া দিয়ে মহিলাদের পায়ের তালু, বিভিন্ন সন্ধিস্থানে লাঠি পেটা করে।
সংবাদ পেয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা হাজতের পাশে গেলে মহিলারা কান্না জড়িত কন্ঠে তাদের উপর পুলিশের নির্মম নির্যাতনের কথা বলেন। এসময় বিনা চিকিৎসায় পুলিশ হাজতে আহতদের ব্যথার যন্ত্রনায় কাতড়াতে দেখা গেছে। পুলিশ তাদের কোন চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে হাজতে আটকে রেখেছে।
সংবাদ পেয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা হাজতের পাশে গেলে মহিলারা কান্না জড়িত কন্ঠে তাদের উপর পুলিশের নির্মম নির্যাতনের কথা বলেন। এসময় বিনা চিকিৎসায় পুলিশ হাজতে আহতদের ব্যথার যন্ত্রনায় কাতড়াতে দেখা গেছে। পুলিশ তাদের কোন চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে হাজতে আটকে রেখেছে।
এ ব্যাপারে শ্রীপুর থানার সংশ্লিষ্ট এসআই আপন কুমার মজুমদারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি কিছুই জানেন না, তিনি শুধু সেকেন্ড অফিসার এস.আই জিয়াউল ইসলামের সাথে গিয়েছিলেন। এস.আই জিয়াউল ইসলামকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, আমি কিছুই জানি না, ওসি সাহেব সব জানেন। এ ব্যাপারে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমির হোসেন জানান, আইন শৃঙ্খলা অবনতির আশংকায় পুলিশ পাঠিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়, তবে গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে কোন মামলা বা ওয়ারেন্ট নাই, মামলা দেয়ার জন্য ডেলকট এনভায়রনমেন্ট সার্ভিসেস লিমিটেড কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
শ্রীপুর থানার ডিউটি অফিসার সুমন জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে থানায় কোন অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। স্থানীয় বরামা গ্রামের আব্দুল হাই (৭৬) জানান, সম্প্রতি ডেলকট কোম্পানী মৃত হাছেন মিয়ার তিন পুত্রের নিকট থেকে ৩ বিঘা জমি ক্রয় করে। আরও অবিক্রিত ৬ পুত্র ও ৭ কন্যার ৯ বিঘা জমিসহ মোট ১২ বিঘা জমিতে রাতের অন্ধকারে অন্যান্য ওয়ারিশানদেরকে এস.আই রোকন ইসলাম থানায় খবর দিয়ে নিয়ে আটকে রেখে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাকের মাধ্যমে ড্রেজার দিয়ে সম্পুর্ন জমি বালু দিয়ে ভর্তি করে ফেলে।
এ ব্যাপারে থানায় মামলা করতে গেলে তাদের বিরুদ্ধে ডেলকট কোম্পানীর মাধ্যমে ৪টি মিথ্যা মামলা দায়ের করে পুলিশ। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, বরামা পুর্ব নামাপাড়া গ্রামে পুরুষ বলতেই নেই। গ্রেফতার আতংকে তারা পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
COMMENTS