শ্রীপুরে সংঘর্ষে প্রকাশ্যে অস্ত্রধারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারে নির্দেশের দুই ঘণ্টার মধ্যে যুবলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য কফিল উদ্দিনসহ এগারোজনকে আটক করেছে পুলিশ।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল জলিল ও ইকবাল হোসেন সবুজের সমর্থকদের মধ্যে শনিবার ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে প্রকাশ্যে গুলিবর্ষণ, গাড়ি ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষের ছবি রোববার বিভিন্ন পত্রিকায় ছাপা হলে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তাদের দ্রুত গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেয় বলে জানিয়েছেন গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খান।
আটক অন্যদের মধ্যে জুয়েল, ইউসুফ আলী, লিটন, শিপু, মো. সেলিম ও ইমরান প্রমুখ। রোববার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শ্রীপুরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়েছে।
তবে শ্রীপুর থানার ওসি মো. আমীর হোসেন জানান, শনিবারের ঘটনায় রোববার বিকাল পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক নূরুল ইসলাম জানান, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শ্রীপুরের উত্তেজনা ছড়িয়ে যাওয়ায় এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় দুই প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল জলিল বলেন, “আমাদের কর্মী মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকার অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাকে নিয়ে ব্যস্ত থাকায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।”
এ সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়। গুরুতর আহত শ্রীপুর পৌর ছাত্রলীগের সদস্য আল আমিনকে (২৫) অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে অন্য চেয়ারম্যান প্রার্থী ইকবাল হোসেন সবুজের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি তা ধরেননি।
COMMENTS