শ্রীপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আলহাজ আবদুল জলিলকে (আনারস) আটকের ঘটনায় মহাসড়ক অবরোধ করেছে নেতাকর্মীরা। অবরোধের কারণে মহাসড়কের উভয় পাশে প্রায় ৫০ কিলোমিটারে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। এ সময় বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম রওশন এরশাদ যানজটে আটক ছিলেন।
জানা গেছে, শুক্রবার দুপুর সোয়া ২টায় র্যাব-১ উত্তরা শাখার সদস্যরা উপজেলার বরমীর ছিটপাড়া এলাকা থেকে আবদুল জলিলকে আটক করে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও সমর্থকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে দুপুর আড়াইটা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত এবং ঢাকা-কাপাসিয়া-কিশোরগঞ্জ মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে।
এ সময় তারা ময়মনসিংহগামী স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্টিকারযুক্ত নম্বরবিহীন জিপ গাড়িসহ বেশ কয়েকটি যানবাহন ভাংচুর এবং তার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ করে। নেতাকর্মীরা ঘটনার জন্য অপর প্রার্থী গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন সবুজকে দোষারোপ করে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন। পরে স্থানীয় সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট আলহাজ মোঃ রহমত আলীর হস্তক্ষেপে র্যাব জলিলকে ছেড়ে দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সানোয়ার হোসেন জানান, উপজেলা আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যন প্রার্থী জলিলকে আটকের প্রতিবাদে নেতাকর্মী ও সমর্থকরা দুপুর আড়াইটা থেকে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ এবং ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে।
এতে সড়কের উভয় পাশে প্রায় ৫০ কিলোমিটারে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। এ সময় সংসদের বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম রওশন এরশাদ যানজটে আটক ছিলেন। শ্রীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির হোসেন জানান, দুপুর ২টায় উপজেলার বরমীর ছিটপাড়া থেকে চেয়ারম্যান প্রার্থী জলিলকে আটক করে র্যাব-১ এর সদস্যরা। তবে তাকে কি কারণে আটক করা হয়েছে তার কোনো কারণ তিনি জানাতে পারেননি।
COMMENTS