আওয়ামী লীগের দু'পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গাজীপুরের শ্রীপুর মডেল থানায় এলাকাবাসীর অভিযোগ নিচ্ছে না পুলিশ।
এলাকাবাসী জানায়, বেলা ১২টা থেকে একের পর এক অভিযোগকারী থানায় গেলে তাদের কোনো অভিযোগ না নিয়ে থানা বন্ধ জানিয়ে বের করে দিচ্ছে। কী কারণে অভিযোগ নেওয়া হবে না -জানতে চাইলে শ্রীপুর মডেল থানার গেটে দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তা অশোভনীয় আচরণ করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী বলেন, 'আমি থানায় এসেছি, আমার স্বামীকে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না এ কারণে থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে। পুলিশ আমার কোনো কথা না শুনেই থানার গেট থেকে বের করে দিয়ে রাতে আসতে বলেছে।''
অভিযোগকারী মোমেনা আক্তার বলেন, “আমার স্বামী যৌতুকের জন্য আমাকে মারধর ও হত্যার চেষ্টা করছে। এজন্য আমি থানায় অভিযোগ করতে আসলে তারা আমাকে নানা ধরনের কথা বলে থানা থেকে বের করে দেয়। এ সময় পুলিশ জানায় থানায় কোনো অভিযোগ নেওয়া হবে না।"
শ্রীপুর পাইলট স্কুলের কয়েক শিক্ষার্থী থানায় আসেন তাদের শিক্ষককে দেখতে ও খাবার দিতে।
তারা বলেন, ''প্রাইভেট পড়তে গিয়ে শুনেছি স্যারকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। তাই থানায় এসেছি পুলিশ আমাদের থানার ভেতর ঢুকতে দেয়নি। স্যারের জন্য খাবার এনেছি পুলিশ তা রেখে দিয়েছে পরে স্যারকে দিয়ে দিবে বলে। পরে পুলিশ থানার গেট থেকে আমাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে বের করে দিয়েছে।''
অটোরিকশার মালিক শামীম মণ্ডল বলেন, “পুলিশের এএসআই মুক্তার স্যারের কাছে ভাড়া পাবো, তা নিতে এসেছি। থানার সামনে আসলে ওই পুলিশ কর্মকর্তা আমার সাথে খারাপ আচরণ করে বের করে দেয়।”
অভিযোগকারীরা আরো বলেন, গত শনিবার আওয়ামী লীগের দু'পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটনার সময় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখেছে পুলিশ। আজ তারা এলাকাবাসীকে তাদের দায়িত্বপালন দেখাচ্ছে।"
শ্রীপুর বাজার বণিক সমিতির সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন সোহাগ বলেন, “শনিবার আওয়ামী লীগের দু'পক্ষের সংঘর্ষের সময় শ্রীপুর থানা পুলিশের কোনো ভূমিকা ছিল না। তারা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে গোলাগুলি দেখছে। তারা যদি একটু সর্তক থাকতো তাহলে শ্রীপুরের এমন ঘটনা ঘটতো না। এমন ঘটনা শ্রীপুরে কোনোদিন ঘটেনি এই প্রথম ঘটলো।”
ডিউটি অফিসার এএসআই সবুজ মিয়া বলেন, ''থানায় এরকম ঘটনা ঘটেনি। তাদের এখন থানায় পাঠিয়ে দেন। আমি বিষয়টি দেখছি।''
শ্রীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আমির হোসেনের কাছে মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি ফোন ধরেননি।
COMMENTS