টেস্ট খেলুড়ে দেশ হয়েও বাংলাদেশকে খেলতে হয়েছে বাছাই পর্ব। এই অবমাননার জবাব খুব ভালভাবেই দিতে শুরু করেছিল টাইগাররা। পর পর দুই ম্যাচ জিতে ইঙ্গিত দিয়েছিল গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সুপার টেন নিশ্চিত করার। কিন্তু হঠাৎই ছন্দপতন। হংকংয়ের সঙ্গে হারের লজ্জা নিয়ে অংকের হিসাবে বাংলাদেশ জায়গা পায় সুপার টেনে।
সুপার টেনে সেরাদের লড়াইয়ে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ভারত, পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়া। আজ মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশের সুপার টেনের মিশন। প্রথম পর্বে না পারলেও এখনও সুযোগ আছে আইসিসিকে জবাব দেয়ার। কিন্তু কতটা প্রস্তুত বাংলাদেশ?
দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম মনে করেন টি-টোয়েন্টি ফরমেটে সব সম্ভব। তিনি দলকে ঘুরে দাঁড়ানোর মন্ত্রও দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আসলে এই গ্রুপে যারা আমাদের প্রতিপক্ষ তাদের কাছে হারানোর কিছুই নেই। তাই জয় ছাড়া অন্য কিছুই ভাবছি না। আর টি- টোয়েন্টিতে সম্ভব যে কোন দলকে হারানো।’ অন্যদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোচ গিবসনও তাই মনে করেন। ভারতের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নরা হার দিয়ে বিশ্বকাপের মিশন শুরু করেছে। কিন্তু এখনও তারা ঘুরে দাঁড়াতে প্রস্তুত। গিবসন বলেন, ‘আজ আমাদের প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ। আর এই ফরমেটে ছোট দল ভেবে খেলার কিছুই নেই। এখানে যে কোন কিছু ঘটে যেতে পারে। তাই ম্যাচ যার বিপক্ষেই হোক আমাদের হেলা করলে চলবে না। কাল (আজ) আমরা শুধু বাংলাদেশকে নিয়ে ভাবছি। আর তাদের হারিয়েই পরের ম্যাচের কথা ভাববো।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজ এই পর্যন্ত ৫৬টি টি-টোয়েন্টি খেলে জয় পেয়েছে ২৬টিতে। ক্রিকেটের এই ক্ষুদ্র সংস্করণে বাংলাদেশ মাত্র ৩৬ ম্যাচে ১১ জয় পেয়েছে। পরিসংখ্যানের খাতায় দুই দলের পার্থক্যটা আকাশ-পাতালের। তবে টি-টোয়েন্টির মুখোমুখি লড়াইয়ে বাংলাদেশ ক্যারিবীয়দের সমানে সমান। চারটি ম্যাচে জয় পরাজয় দু’দলের সমান। ২০০৭ সালে বাংলাদেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম মুখোমুখি হয়েছিল বিশ্বকাপের আসরে। সেই ম্যাচেই জয় দিয়ে শুরু করে। এরপর সেই হারের প্রতিশোধ নেয় ক্যারিবীয়রা। কিন্তু ২০১১ সালে বাংলাদেশ নিজেদের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পেয়ে জয় তুলে নিতে ভুল করেনি। অবশ্য ২০১২ সালে সেই হারের প্রতিশোধটা ওয়েস্ট ইন্ডিজ বাংলাদেশের মটিতেই তুলে নেয়। আজ ৫ম ম্যাচে আবারও সুযোগ মুশফিক বাহিনীর ঘরের মাঠে জয়-পরাজয়ের ব্যবধানটা বাড়িয়ে নেয়ার। কিন্তু বিধ্বস্ত বাংলাদেশ দলে ইনজুরির হানা এখন শঙ্কাটা আরও বড় করে দিয়েছে। পারবে তো বাংলাদেশ?
ওপেনিংয়ে আজ তামিম ইকবাল থাকছেন, সঙ্গে থাকবেন এনামুল হক বিজয়। তাদের পরেই দলের হাল ধরবেন সাকিব আল হাসান আর মুশফিকুর রহীম। তবে আজ দল থেকে বাদ পড়তে পারেন নাসির হোসেন ও ফরহাদ রেজা। তাদের পরিবর্তে দেখা যেতে পারে মুমিনুল হক সৌরভ ও অপ্রত্যাশিত দলে সুযোগ পাওয়া জিয়াউর রহমান। অন্যদিকে স্পিন সহায়ক উইকেট আর গেইল বধের রেকর্ডের কারণে আজ দলে দেখা যেতে পারে গাজীকে। পেস আক্রমণে মাশরাফি শঙ্কায় থাকলেও আল আমিন ভরসা হয়ে থাকবেন দলের পেস বিভাগের। তবে মাশরাফি আজ নামবেন- সম্ভাবনা ফিফটি ফিফটি বলেই মনে করেন দলের অধিনায়ক। দল নিয়ে মুশফিক বলেন, ‘আমাদের আর অপশন নাই। মাশরাফি ভাইয়ের অবস্থাটা উনি ছাড়া আর কেউ বুঝতে পারে না। উনার অবস্থা যদি ১০/৫ হয় তাহলেও হয়তো উনি খেলার জন্য প্রস্তুত থাকবেন।’
অন্যদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ম্যাচ হেরেছে ভারতের বিপক্ষে। তাই টি- টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের রেসে রাখতে আজ তাদের জয় চাই। কিন্তু দেশের মাটিতে যে বাংলাদেশ শক্ত প্রতিপক্ষ তা ভালভাবে জানে ক্যারিবীয়রা। ক্রিস গেইল, ব্রাভো, আর স্যামুয়েলসদের নিয়ে প্রস্তুত স্যামির দল। আর ভয়ও নেই বাংলাদেশের স্পিন আক্রমণ নিয়ে। কোচ গিবসন ভারতের স্পিন এটাককে এগিয়ে রাখলেও বাংলাদেশকে পাত্তা দিতে চাইলেন না। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি শেষ ম্যাচে ভারত ভাল স্পিন বল করেছে। তার মানে এই নয় যে, বাংলাদেশও ভাল করবে। ওদের স্পিনার নিয়ে কোন সমস্যা হবে না। গতরাতে আমরা এটা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমি মনে করি ভারতের স্পিনের সঙ্গে বাংলাদেশের স্পিনে পার্থক্য রয়েছে।’
দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম মনে করেন টি-টোয়েন্টি ফরমেটে সব সম্ভব। তিনি দলকে ঘুরে দাঁড়ানোর মন্ত্রও দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আসলে এই গ্রুপে যারা আমাদের প্রতিপক্ষ তাদের কাছে হারানোর কিছুই নেই। তাই জয় ছাড়া অন্য কিছুই ভাবছি না। আর টি- টোয়েন্টিতে সম্ভব যে কোন দলকে হারানো।’ অন্যদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোচ গিবসনও তাই মনে করেন। ভারতের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নরা হার দিয়ে বিশ্বকাপের মিশন শুরু করেছে। কিন্তু এখনও তারা ঘুরে দাঁড়াতে প্রস্তুত। গিবসন বলেন, ‘আজ আমাদের প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ। আর এই ফরমেটে ছোট দল ভেবে খেলার কিছুই নেই। এখানে যে কোন কিছু ঘটে যেতে পারে। তাই ম্যাচ যার বিপক্ষেই হোক আমাদের হেলা করলে চলবে না। কাল (আজ) আমরা শুধু বাংলাদেশকে নিয়ে ভাবছি। আর তাদের হারিয়েই পরের ম্যাচের কথা ভাববো।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজ এই পর্যন্ত ৫৬টি টি-টোয়েন্টি খেলে জয় পেয়েছে ২৬টিতে। ক্রিকেটের এই ক্ষুদ্র সংস্করণে বাংলাদেশ মাত্র ৩৬ ম্যাচে ১১ জয় পেয়েছে। পরিসংখ্যানের খাতায় দুই দলের পার্থক্যটা আকাশ-পাতালের। তবে টি-টোয়েন্টির মুখোমুখি লড়াইয়ে বাংলাদেশ ক্যারিবীয়দের সমানে সমান। চারটি ম্যাচে জয় পরাজয় দু’দলের সমান। ২০০৭ সালে বাংলাদেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম মুখোমুখি হয়েছিল বিশ্বকাপের আসরে। সেই ম্যাচেই জয় দিয়ে শুরু করে। এরপর সেই হারের প্রতিশোধ নেয় ক্যারিবীয়রা। কিন্তু ২০১১ সালে বাংলাদেশ নিজেদের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পেয়ে জয় তুলে নিতে ভুল করেনি। অবশ্য ২০১২ সালে সেই হারের প্রতিশোধটা ওয়েস্ট ইন্ডিজ বাংলাদেশের মটিতেই তুলে নেয়। আজ ৫ম ম্যাচে আবারও সুযোগ মুশফিক বাহিনীর ঘরের মাঠে জয়-পরাজয়ের ব্যবধানটা বাড়িয়ে নেয়ার। কিন্তু বিধ্বস্ত বাংলাদেশ দলে ইনজুরির হানা এখন শঙ্কাটা আরও বড় করে দিয়েছে। পারবে তো বাংলাদেশ?
ওপেনিংয়ে আজ তামিম ইকবাল থাকছেন, সঙ্গে থাকবেন এনামুল হক বিজয়। তাদের পরেই দলের হাল ধরবেন সাকিব আল হাসান আর মুশফিকুর রহীম। তবে আজ দল থেকে বাদ পড়তে পারেন নাসির হোসেন ও ফরহাদ রেজা। তাদের পরিবর্তে দেখা যেতে পারে মুমিনুল হক সৌরভ ও অপ্রত্যাশিত দলে সুযোগ পাওয়া জিয়াউর রহমান। অন্যদিকে স্পিন সহায়ক উইকেট আর গেইল বধের রেকর্ডের কারণে আজ দলে দেখা যেতে পারে গাজীকে। পেস আক্রমণে মাশরাফি শঙ্কায় থাকলেও আল আমিন ভরসা হয়ে থাকবেন দলের পেস বিভাগের। তবে মাশরাফি আজ নামবেন- সম্ভাবনা ফিফটি ফিফটি বলেই মনে করেন দলের অধিনায়ক। দল নিয়ে মুশফিক বলেন, ‘আমাদের আর অপশন নাই। মাশরাফি ভাইয়ের অবস্থাটা উনি ছাড়া আর কেউ বুঝতে পারে না। উনার অবস্থা যদি ১০/৫ হয় তাহলেও হয়তো উনি খেলার জন্য প্রস্তুত থাকবেন।’
অন্যদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ম্যাচ হেরেছে ভারতের বিপক্ষে। তাই টি- টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের রেসে রাখতে আজ তাদের জয় চাই। কিন্তু দেশের মাটিতে যে বাংলাদেশ শক্ত প্রতিপক্ষ তা ভালভাবে জানে ক্যারিবীয়রা। ক্রিস গেইল, ব্রাভো, আর স্যামুয়েলসদের নিয়ে প্রস্তুত স্যামির দল। আর ভয়ও নেই বাংলাদেশের স্পিন আক্রমণ নিয়ে। কোচ গিবসন ভারতের স্পিন এটাককে এগিয়ে রাখলেও বাংলাদেশকে পাত্তা দিতে চাইলেন না। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি শেষ ম্যাচে ভারত ভাল স্পিন বল করেছে। তার মানে এই নয় যে, বাংলাদেশও ভাল করবে। ওদের স্পিনার নিয়ে কোন সমস্যা হবে না। গতরাতে আমরা এটা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমি মনে করি ভারতের স্পিনের সঙ্গে বাংলাদেশের স্পিনে পার্থক্য রয়েছে।’
COMMENTS