'ইনস্পায়ারিং চেঞ্জ' বা পরিবর্তনকে উত্সাহিত করার প্রতিপাদ্য নিয়ে সারাবিশ্বে পালিত হয়ে গেল আন্তর্জাতিক নারী দিবস। এবছর দিবসটির প্রতিপাদ্য সারাবিশ্বের মানুষকে নারীর ক্ষমতায়নে উত্সাহিত করবে। একসময় নারীর ক্ষমতায়নকে বাঁকা চোখে দেখা হলেও এখন আর সে সুযোগ নেই। বিশ্বজুড়ে রাজনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য, সামাজিক কর্মসূচি, সংগঠন সর্বত্রই নারীর অবাধ পদচারণা। এসব ক্ষেত্রে বাংলাদেশের নারীরাও পিছিয়ে নেই। পর্যায়ক্রমে আমরা দুজন নারী প্রধানমন্ত্রী পেয়েছি। এদের একজন আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া আমাদের বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় সংসদের স্পিকারও নারী। নিজেদের শ্রম, মেধা এবং দক্ষতা দিয়ে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশের নারীরাও এগিয়ে চলেছেন সব ক্ষেত্রে।
বিশ্বজুড়ে দেখা গেছে, রাজনীতি থেকে শুরু করে ব্যবসা-বাণিজ্য, সামাজিক কর্মকাণ্ড—সব জায়গায় ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছেন নারীরা। শুধু তাই নয়, এখন পর্যন্ত নারীর ক্ষমতায়নে কাজ করে যাচ্ছেন অনেকেই। এদের মধ্যে কয়েকজন সম্পদশালী নারীও রয়েছেন। আজ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে বিশ্বের আলোচিত দশ নারী সম্পর্কে কিছু তথ্য পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো:
এঙ্গেলা মার্কেল: এঙ্গেলা ডোরোটেয়া মার্কেল (৫৯) হচ্ছেন জার্মানির বর্তমান ও প্রথম নারী চ্যান্সেলর। ২০০৫ সাল থেকে তিনি চ্যান্সেলরের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি দেশটির ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান এবং ২০০২ হতে ২০০৫ পর্যন্ত ক্রিশ্চিয়ান সোশ্যাল ইউনিয়নের সংসদীয় জোটের চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০০৭ সালে তিনি মার্গারেট থ্যাচারের পর জি-৮ এর দ্বিতীয় নারী চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন। মার্কেল এক সময় সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির সদস্য ছিলেন। কোয়ান্টাম রসায়নের উপর গবেষণার জন্য তিনি ডক্টরেট ডিগ্রি পান।
দিলমা রুসেফ: ব্রাজিলের বিশিষ্ট নারী অর্থনীতিবিদ ও রাজনীতিবিদ। বর্তমানে তিনি ব্রাজিলের ৩৬তম রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করছেন। তরুণ বয়সে তিনি সমাজতান্ত্রিক ধ্যান-ধারণায় জড়িয়ে পড়েন। পরে ব্রাজিলের ওয়ার্কার্স পার্টিতে যোগ দেন। ২০০২ সালে রুসেফ (৬৬) দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট লুলা দ্য সিলভা'র সঙ্গে যোগ দেন। ২০০৩ সালে লুলা দ্য সিলভা সরকারের খনিজ ও শক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেন। ২০০৫ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত তিনি লুলা'র 'চিফ অব স্টাফ' ছিলেন। এরপর ২০১০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি বিজয়ী হন।
দিলমা রুসেফ: ব্রাজিলের বিশিষ্ট নারী অর্থনীতিবিদ ও রাজনীতিবিদ। বর্তমানে তিনি ব্রাজিলের ৩৬তম রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করছেন। তরুণ বয়সে তিনি সমাজতান্ত্রিক ধ্যান-ধারণায় জড়িয়ে পড়েন। পরে ব্রাজিলের ওয়ার্কার্স পার্টিতে যোগ দেন। ২০০২ সালে রুসেফ (৬৬) দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট লুলা দ্য সিলভা'র সঙ্গে যোগ দেন। ২০০৩ সালে লুলা দ্য সিলভা সরকারের খনিজ ও শক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেন। ২০০৫ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত তিনি লুলা'র 'চিফ অব স্টাফ' ছিলেন। এরপর ২০১০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি বিজয়ী হন।
মেলিন্ডা গেটস: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণকারী মানবপ্রেমী ও নারী ব্যবসায়ী ব্যক্তিত্ব হিসেবে সারা বিশ্বে পরিচিত। তবে তার অন্যতম পরিচয় হচ্ছে বিশ্বের সেরা ধনী ও মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বিল গেটসের স্ত্রী। মাইক্রোসফটে কমর্রত অবস্থায় তাদের পরিচয় হয়। মাইক্রোসফট বব, মাইক্রোসফট এনকার্টা এবং এক্সপিডিয়া প্রকল্পে কাজ করেছেন মেলিন্ডা (৪৯)। ১৯৮২ সালে তিনি উরসুলিন অ্যাকাডেমি অব ডালাস থেকে স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। ডিউক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৬ সালে কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং অর্থনীতিতেও ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৮৭ সালে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন। ঐ বছরই তিনি মাইক্রোসফটে যোগদান করেন। বর্তমানে তিনি বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের কো- চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
মিশেল ওবামা: যুক্তরাষ্ট্রের ৪৪তম প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার স্ত্রী মিশেল ওবামা (৫০) প্রথম আফ্রিকান-আমেরিকান ফার্স্ট লেডি। আইনজীবী ও লেখিকা হিসেবেও তার পরিচিতি রয়েছে। ২০০৭ থেকে ২০০৮ সালে তিনি স্বামীর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণায় সহযোগিতা করেন। ফার্স্ট লেডি হিসেবে তিনি যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের নজর কেড়েছেন। ফার্স্ট লেডি হওয়ার কিছু দিনের মধ্যে তিনি ফ্যাশন আইকন ও নারীদের রোল মডেলে পরিণত হন। তিনি দারিদ্র্য বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি, পুষ্টি ও স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণের জন্যও প্রচারণা চালাচ্ছেন। আগামী ২০১৭ সালের ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত মিশেল ওবামা মার্কিন ফার্স্ট লেডি থাকবেন।
মিশেল ওবামা: যুক্তরাষ্ট্রের ৪৪তম প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার স্ত্রী মিশেল ওবামা (৫০) প্রথম আফ্রিকান-আমেরিকান ফার্স্ট লেডি। আইনজীবী ও লেখিকা হিসেবেও তার পরিচিতি রয়েছে। ২০০৭ থেকে ২০০৮ সালে তিনি স্বামীর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণায় সহযোগিতা করেন। ফার্স্ট লেডি হিসেবে তিনি যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের নজর কেড়েছেন। ফার্স্ট লেডি হওয়ার কিছু দিনের মধ্যে তিনি ফ্যাশন আইকন ও নারীদের রোল মডেলে পরিণত হন। তিনি দারিদ্র্য বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি, পুষ্টি ও স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণের জন্যও প্রচারণা চালাচ্ছেন। আগামী ২০১৭ সালের ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত মিশেল ওবামা মার্কিন ফার্স্ট লেডি থাকবেন।
হিলারি ক্লিনটন: যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন (৬৬)। তিনি ডেমোক্রেটিক পার্টির সদস্য এবং নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের প্রতিনিধি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভার সিনেটরের দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে তার আরেকটি বড় পরিচয় হলো তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের স্ত্রী। রাজনীতিতে প্রবেশের পূর্বে তিনি আইন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। শিকাগোর ইলিনয়সে জন্মগ্রহণকারী হিলারির আগামী মার্কিন নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার জোর সম্ভাবনা রয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে তিনি পূর্বের যেকোন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর চেয়ে বেশি দেশ সফর করেছেন। বিশ্বের সর্বত্র তিনি নারীদের ক্ষমতায়নে সোচ্চার কণ্ঠ।
শেরিল স্যান্ডবার্গ: যুক্তরাষ্ট্রের তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবসায়ী স্যান্ডবার্গ ১৯৬৯ সালের ২৮ আগষ্ট জন্মগ্রহণ করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তিনি। ২০১২ সালের জুনে তিনি ফেসবুক কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের একজন প্রভাবশালী সদস্য নির্বাচিত হন। এর আগে তিনি সার্চ ইঞ্জিন গুগলের 'গ্লোবাল অনলাইন সেলস' এর ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন। গুগলে চাকরি নেয়ার আগে স্যান্ডবার্গ ( ৪৪) যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রীর চীফ অব স্টাফ হিসেবে কাজ করেছেন। ২০১২ সালে বিশ্বের একশ জন প্রভাবশালী নারীর তালিকায় তার নাম স্থান পায়। ২০১৪ সালে শেরিল এর সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
ক্রিশ্চিন লাগার্দি : ফ্রান্সের এ নারী ১৯৫৬ সালের পহেলা জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ -এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ২০১১ সালের ৫ জুলাই থেকে তিনি এ দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি একজন আইনবিদও। এর আগে তিনি ফরাসী সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। অর্থমন্ত্রী হিসেবে তিনি খ্যাতি অর্জন করেন। কিছুদিন তিনি মত্স্য মন্ত্রীরও দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৯ সালে ফিনান্সিয়াল টাইমস পত্রিকা লাগার্দিকে (৫৮) ইউরোজোনের মধ্যে শ্রেষ্ঠ অর্থমন্ত্রী হিসেবে খেতাব দেয়।
জেনেট নেপোলিটানো: যুক্তরাষ্ট্রের আইনজীবী এবং রাজনীতিবিদ জেনেট (৫৬) ১৯৫৭ সালের ২৯ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তিনি প্রথম নারী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ডেমোক্রেটিক পার্টির এ নেতা ২০১৩ সালে এ দায়িত্ব থেকে ইস্তফা দেন। ২০০৩ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত তিনি আরিজোনা রাজ্যের গভর্নরের দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে তিনি এ অঞ্চল থেকে এটর্নী জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন। নাইন ইলেভেনে যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলার পর হোমল্যান্ড সিকিউরিটি অফিস খোলার পর যে কয়েকজন এ সংস্থার দায়িত্ব পালন করেছেন তার মধ্যে জ্যানেট উল্লেখযোগ্য। ২০১২ সাল থেকেই তিনি ফোর্বস ম্যাগাজিনের ক্ষমতাধর নারীর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হন।
সোনিয়া গান্ধী: ১৯৪৬ সালে ইটালীতে জন্ম নেয়া এ নারী বিশ্বের নয় নম্বর ক্ষমতাধর নারী। তিনি ভারতের রাজনীতিক ও প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর স্ত্রী। ১৯৯৮ সাল থেকে ভারতের কংগ্রেস পার্টির সভানেত্রী হিসিবে দায়িত্ব পালন করছেন সোনিয়া গান্ধী (৬৭)। ১৯৯১ সালে রাজীব গান্ধী নিহত হলে কংগ্রেসের নেতারা সোনিয়াকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার আহবান জানান। কিন্তু সোনিয়া তাদের প্রস্তাবে সায় দেননি। এমনকি সেসময় তিনি রাজনীতিতেও আসেননি। কিন্তু মত পরিবর্তন করে ১৯৯৭ সালে তিনি রাজনীতিতে যোগ দেন এবং ১৯৯৮ সালে কংগ্রেসের দায়িত্ব নেন। ২০০৪ সাল থেকে তিনি ভারতের ক্ষমতাসীন ইউপিএ সরকারের চেয়ারপার্সনের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ২০১০ সালে তিনি চতুর্থবারের মতো কংগ্রেসের সভানেত্রী হয়ে রেকর্ড গড়েন। কংগ্রেসের ১২৫ বছরের ইতিহাসে আর কেউ এতবছর সভাপতির দায়িত্ব পালন করতে পারেননি।
ইন্দ া নুইয়ি: ভারতীয় বংশোদ্ভূত ৫৮ বছর বয়সী যুক্তরাষ্ট্রের এই ব্যবসায়ী নারী ১৯৫৫ সালে ভারতের তামিলনাড়ুর মাদ্রাজে জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্ কোমল পানীয় প্রস্তুতকারী ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান পেপসিকোর চেয়ারপার্সন এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। বর্তমানে তিনি নিউইয়র্কে বসবাস করছেন। তার কলেজ জীবন কেটেছে কোলকাতায়।
শেরিল স্যান্ডবার্গ: যুক্তরাষ্ট্রের তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবসায়ী স্যান্ডবার্গ ১৯৬৯ সালের ২৮ আগষ্ট জন্মগ্রহণ করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তিনি। ২০১২ সালের জুনে তিনি ফেসবুক কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের একজন প্রভাবশালী সদস্য নির্বাচিত হন। এর আগে তিনি সার্চ ইঞ্জিন গুগলের 'গ্লোবাল অনলাইন সেলস' এর ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন। গুগলে চাকরি নেয়ার আগে স্যান্ডবার্গ ( ৪৪) যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রীর চীফ অব স্টাফ হিসেবে কাজ করেছেন। ২০১২ সালে বিশ্বের একশ জন প্রভাবশালী নারীর তালিকায় তার নাম স্থান পায়। ২০১৪ সালে শেরিল এর সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
ক্রিশ্চিন লাগার্দি : ফ্রান্সের এ নারী ১৯৫৬ সালের পহেলা জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ -এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ২০১১ সালের ৫ জুলাই থেকে তিনি এ দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি একজন আইনবিদও। এর আগে তিনি ফরাসী সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। অর্থমন্ত্রী হিসেবে তিনি খ্যাতি অর্জন করেন। কিছুদিন তিনি মত্স্য মন্ত্রীরও দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৯ সালে ফিনান্সিয়াল টাইমস পত্রিকা লাগার্দিকে (৫৮) ইউরোজোনের মধ্যে শ্রেষ্ঠ অর্থমন্ত্রী হিসেবে খেতাব দেয়।
জেনেট নেপোলিটানো: যুক্তরাষ্ট্রের আইনজীবী এবং রাজনীতিবিদ জেনেট (৫৬) ১৯৫৭ সালের ২৯ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তিনি প্রথম নারী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ডেমোক্রেটিক পার্টির এ নেতা ২০১৩ সালে এ দায়িত্ব থেকে ইস্তফা দেন। ২০০৩ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত তিনি আরিজোনা রাজ্যের গভর্নরের দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে তিনি এ অঞ্চল থেকে এটর্নী জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন। নাইন ইলেভেনে যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলার পর হোমল্যান্ড সিকিউরিটি অফিস খোলার পর যে কয়েকজন এ সংস্থার দায়িত্ব পালন করেছেন তার মধ্যে জ্যানেট উল্লেখযোগ্য। ২০১২ সাল থেকেই তিনি ফোর্বস ম্যাগাজিনের ক্ষমতাধর নারীর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হন।
সোনিয়া গান্ধী: ১৯৪৬ সালে ইটালীতে জন্ম নেয়া এ নারী বিশ্বের নয় নম্বর ক্ষমতাধর নারী। তিনি ভারতের রাজনীতিক ও প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর স্ত্রী। ১৯৯৮ সাল থেকে ভারতের কংগ্রেস পার্টির সভানেত্রী হিসিবে দায়িত্ব পালন করছেন সোনিয়া গান্ধী (৬৭)। ১৯৯১ সালে রাজীব গান্ধী নিহত হলে কংগ্রেসের নেতারা সোনিয়াকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার আহবান জানান। কিন্তু সোনিয়া তাদের প্রস্তাবে সায় দেননি। এমনকি সেসময় তিনি রাজনীতিতেও আসেননি। কিন্তু মত পরিবর্তন করে ১৯৯৭ সালে তিনি রাজনীতিতে যোগ দেন এবং ১৯৯৮ সালে কংগ্রেসের দায়িত্ব নেন। ২০০৪ সাল থেকে তিনি ভারতের ক্ষমতাসীন ইউপিএ সরকারের চেয়ারপার্সনের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ২০১০ সালে তিনি চতুর্থবারের মতো কংগ্রেসের সভানেত্রী হয়ে রেকর্ড গড়েন। কংগ্রেসের ১২৫ বছরের ইতিহাসে আর কেউ এতবছর সভাপতির দায়িত্ব পালন করতে পারেননি।
ইন্দ া নুইয়ি: ভারতীয় বংশোদ্ভূত ৫৮ বছর বয়সী যুক্তরাষ্ট্রের এই ব্যবসায়ী নারী ১৯৫৫ সালে ভারতের তামিলনাড়ুর মাদ্রাজে জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্ কোমল পানীয় প্রস্তুতকারী ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান পেপসিকোর চেয়ারপার্সন এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। বর্তমানে তিনি নিউইয়র্কে বসবাস করছেন। তার কলেজ জীবন কেটেছে কোলকাতায়।
COMMENTS