বিভিন্ন স্থানে তাণ্ডব, সহিংসতা, কেন্দ্র দখল, জাল ভোট দেয়া এবং ভোট বর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো চতুর্থ ধাপে ৪৩ জেলার ৯১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ। এর আগে রবিবার সকাল ৮টায় শুরু হয়ে একটানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোট গ্রহণ শেষে কেন্দ্রগুলোতে চলছে ভোট গণনার কাজ।
সকাল থেকেই ভোট চলাকালে বেশিরভাগ উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্রে সরকার সমর্থকদের তাণ্ডব, কেন্দ্র দখল, জাল ভোট প্রদান এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ইউপি চেয়ারম্যান নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া কয়েকটি উপজেলায় প্রার্থীরা ভোট বর্জন করে আগামীকাল সোমবার হরতালেরও ডাক দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, চতুর্থ ধাপের ৪৩ জেলার ৯১টি উপজেলায় মোট ১ হাজার ১৮৬ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী ৩৮৯, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ৪৮৫ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ৩১২ জন। এসব এলাকায় মোট ভোটার ১ কোটি ৪৩ লাখ ২৫ হাজার ৬৪৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৭১ লাখ ৩৯ হাজার ১০২ এবং নারী ৭১ লাখ ৮৬ হাজার ৫৪২ জন।
ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৬ হাজার ১০৮টি। ভোট কক্ষ ৩৮ হাজার ৬৪৪টি। প্রিসাইডিং অফিসার প্রতি ভোটকেন্দ্রে একজন করে ৬ হাজার ১০৮ জন। সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার প্রতি ভোটকক্ষের জন্য একজন করে মোট ৩৮ হাজার ৬৪৪ জন এবং পোলিং অফিসারের সংখ্যা ৭৭ হাজার ২৮৮ জন।
COMMENTS