শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের সব কবর একই নকশায় গড়ার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
গাজীপুরে বুধবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হক শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের কবর সহজে চেনার সুবিধার জন্য সব কবর একই নকশায় করার কথা জানান। সভা শেষে পরে তিনি বলেন, সিদ্ধান্ত হয়েছে আগামী অর্থ বছর থেকে এ প্রকল্প শুরু হবে। একাত্তরের ১৯ মার্চ গাজীপুরে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সেদিন জয়দেবপুর (গাজীপুর) সেনানিবাসে দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টকে নিরস্ত্র করতে পাকিস্তানি সেনারা আসছে শুনে সর্বস্তরের মানুষ রাস্তায় বেরিকেড দিয়ে প্রতিরোধ করে। এতে পাকিস্তানি সেনাদের হাতে হুরমত, নিয়ামত ও মনু খলিফা নিহত হন।
সভায় মন্ত্রী বলেন, আগামী বছর থেকে ১৯ মার্চকে জাতীয়ভাবে পালনের চিন্তা করছে সরকার। ১৯ মার্চের ঘটনা স্কুলের পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভূক্ত করার ব্যাপারে তার মন্ত্রণালয় কাজ করছে বলে জানিয়েছেন তিনি। অনুষ্ঠানে ১৯ মার্চ সশস্ত্র সংগ্রামে অংশগ্রহণকারীদের সংবর্ধনা দেয়া হয়। আলোচনা সভার আগে মন্ত্রী '৭১-এর ১৯ মার্চ পাক হানাদারদের গুলিতে শহীদ মনু খলিফা, নেয়ামত ও হুরমত আলীর কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
দিবসটি উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও গাজীপুর জেলা প্রশাসন যৌথভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে।
COMMENTS