চলতি মাসের শেষে এবং আগামী মে মাসের প্রথম সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি হলে চলমান তীব্র, মাঝারী ও মৃদু তাপ প্রবাহ কমতে পারে।
এ তথ্য জানিয়ে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ আরিফ হোসেন বলেন, আগামী ২৭ ও ২৮ এপ্রিল দেশের কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া এপ্রিল মাসের শেষে এবং আগামী মে মাসের প্রথম সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন, বৃষ্টি হওয়ার পাশাপাশি চলমান গরম কিছুটা কমতে পারে।
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের উপর দিয়ে তীব্র, মাঝারী ও মৃদ্যু তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তাপ প্রবাহের কারণে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় যশোরে ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, ঢাকা, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, রাজশাহী, ঈশ্বরদী, খুলনা, মংলা, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে তীব্র তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এছাড়া দেশের অন্যান্য স্থানে মাঝারী থেকে মৃদু তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তা অব্যাহত থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, আগামী ৭২ ঘন্টায় দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে কয়েক দিনের তাপপ্রবাহের পর সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় বৃষ্টিপাত হয়েছে। তাপমাত্রাও কমেছে আগের চেয়ে। বৃহস্পতিবার ঢাকায় রেকর্ড তাপমাত্রার পর আজ শুক্রবার বিকালের দিকে তাপমাত্রা ছিল কিছুটা কম। এ বিভাগে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দু’এক দিন পর ঢাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়াবিদ আরিফ হোসেন জানান, ১৯৬৩ সালে ঈশ্বরদীতে ৪৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বগুড়ায় ১৯৭০ সালে ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি এবং ১৯৮৫ সালে রাজশাহীতে ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। গত বছর এপ্রিল মাসে চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
এছাড়া ১৯৯৫ সালে ঈশ্বরদীতে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
COMMENTS