মোবাইল, ডিসি মটর, কলম, ককশিট, জিআই ও তামার তার দিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগের মাধ্যমে সিএফএন নামের এমন এক যন্ত্র আবিষ্কার করেছে গাজীপুরের ক্ষুদে তিন বিজ্ঞানী যা দিয়ে বাংলাদেশের যেকোনো স্থান থেকে অনুমোদিত ব্যক্তি তার ঘর, প্রতিষ্ঠান বা কর্মস্থলের সুইচ পরিচালনা করতে পারবেন।
গাজীপুরের রাণী বিলাসমণি সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণী বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থী রাফসান জানি, নাঈমুর রহমান বিশ্বাস ও মেহেদী হাসান এ যন্ত্রটির আবিষ্কারক।
শনিবার গাজীপুরের রাজবাড়ী মাঠে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে তিন দিনব্যাপী (২৬-২৮এপ্রিল) শুরু হওয়া ‘ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা এবং ৩৫তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ-২০১৪’ এ আবিষ্কারটি প্রদর্শন করা হয়।
সিএফএন-এর আবিষ্কারকেরা জানায়, প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও সাধারণ জ্ঞান থেকে তাদের মধ্যে যন্ত্রটি আবিষ্কারের আগ্রহ জাগে। পরে ইন্টারনেট থেকে নানা রকম তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ, সাধারণ এবং পাঠ্য বই থেকে জ্ঞান সংগ্রহ করে তারা যন্ত্রটি আবিষ্কার করতে সক্ষম হন।
রাফসান জানি জানায়, তাদের এ যন্ত্র আবিষ্কারের জন্য তিন বন্ধুকে তিন’শ টাকা ব্যয় করতে হয়েছে। এ যন্ত্র তৈরি করতে সাতটি পরিত্যক্ত উপাদানের সংযোগ ঘটানো হয়েছে।
নাঈমুর রহমান বিশ্বাস জানায়, যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত মোবাইল নাম্বারে অনুমোদিত একটি নাম্বার (যিনি যন্ত্রটি নিয়ন্ত্রণ করবেন) থেকেই ফোন করা যাবে। ওই নাম্বার ছাড়া বাকি সব নাম্বার ব্লক করা থাকবে। প্রতি বেজোড় ডায়ালের ক্ষেত্রে ঘর, প্রতিষ্ঠান বা কর্মস্থলের সুইচগুলো অন হবে এবং জোড়া কলের ক্ষেত্রে সুইচগুলো অফ হয়ে যাবে। যেসব সুইচগুলো দূর থেকে নিয়ন্ত্রণ করার দরকার হবে সেগুলো ওই যন্ত্রটির সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে দিতে হবে।
মেহেদী হাসান জানায়, যিনি যন্ত্রটি নিয়ন্ত্রণ করবেন তার মোবাইলের সিম যদি ইন্টারন্যাশনাল নেটওয়ার্কিংয়ের আওতায় থাকে তাহলে বাংলাদেশের বাইরে থেকেও তা পরিচালনা করা সম্ভব।
রাণী বিলাসমণি সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. শরীফ সরকার ও আসাদুজ্জামান জানান, শিক্ষার্থীদের নিজস্ব উদ্যোগে এবং তাদের নিজ জ্ঞান থেকেই তারা আবিষ্কার করেছে। এতে তারা নিজেদের উদ্ভাবনী শক্তির বিকাশ ঘটিয়েছে।
গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মহসীন বলেন, মেলায় ৩০টি বিজ্ঞান বিষয়ক এবং ১২টি তথ্য বিজ্ঞানসহ মোট ৪২টি স্টল সাজানো হয়েছে। এতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ তথ্য সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে। এর মধ্যে জেলা ও পুলিশ প্রশাসন, তথ্য অধিদপ্তর, ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, শ্রীপুর উপজেলা, ডিজিটাল কম্পিউটার জোন গাজীপুর, বাংলালায়ন, আনসার ভিডিপি, ওয়ান ব্যাংক, ডাচ বাংলা ব্যাংক, কাপাসিয়া উপজেলা, কালিগঞ্জ উপজেলা, কালিয়াকৈর উপজেলা, টঙ্গী সিরাজ উদ্দিন সরকার স্কুল অ্যান্ড কলেজ, যুব উন্নয়ন অধিদফতর, গাজীপুর মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি, দোয়েল, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, ইউসেপ গাজীপুর।
শনিবার দুপুর ১টায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জুনাইদ আহমেদ পলক তিন দিনব্যাপী এ মেলার উদ্বোধন করেন।
এসময় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আগামী ৫ বছরে আইসিটির মাধ্যমে ১০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান করা হবে। দেশের মানুষ আজ বিশ্বাস স্থাপন করেছে যে, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে পারব। দেশের গ্রামীন অর্থনীতিও আজ প্রযুক্তি নির্ভর হয়েছে। আজকে প্রতিমাসে ৪০ লক্ষ মানুষ ইউনিয়ন তথ্য কেন্দ্র থেকে সেবা গ্রহণ করছে। আমাদের টার্গেট, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামী ৫ বছরে প্রযুক্তি নির্ভর অর্থনীতি গড়ে তোলা।
এসময় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আগামী ৫ বছরে আইসিটির মাধ্যমে ১০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান করা হবে। দেশের মানুষ আজ বিশ্বাস স্থাপন করেছে যে, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে পারব। দেশের গ্রামীন অর্থনীতিও আজ প্রযুক্তি নির্ভর হয়েছে। আজকে প্রতিমাসে ৪০ লক্ষ মানুষ ইউনিয়ন তথ্য কেন্দ্র থেকে সেবা গ্রহণ করছে। আমাদের টার্গেট, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামী ৫ বছরে প্রযুক্তি নির্ভর অর্থনীতি গড়ে তোলা।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক নূরুল ইসলামের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন একসেস টু ইনফরমেশনের (এটুআই) প্রকল্প পরিচালক কবীর বিন আনোয়ার, গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মহসীন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুল হাদী শামীম, বাংলাদেশ সাঁতার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মো. রফিজ উদ্দিন, জি এম ফারুক খান প্রমুখ।
COMMENTS