এখন থেকে বাংলাদেশেই হিরো ব্র্যান্ডের মোটর সাইকেল (টু-হুইলার) তৈরি করবে নিটল-নিলয় গ্রুপ। এদেশে হিরো মোটর সাইকেল উৎপাদনের লক্ষ্যে যৌথ বিনিয়োগ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে দেশীয় উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান নিটল-নিলয় গ্রুপ এবং ভারতীয় অটোমোবাইল কোম্পানি হিরো মটোকর্পোরেশন।
সোমবার রাজধানীর রূপসী বাংলা হোটেলে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। নিটল-নিলয় গ্রুপের পক্ষে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান আবদুল মাতলুব আহমাদ এবং হিরো মটোকর্পোরেশনের পক্ষে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পবন মুনজাল চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে নিটল-নিলয় গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুল মাতলুব আহমাদ, হিরো মটোকর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পবন মুনজাল, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনার সন্দ্বীপ চক্রবর্তী বক্তব্য রাখেন।
প্রসঙ্গত এ চুক্তির আওতায় ভারতীয় হিরো মটোকর্পোরেশন বাংলাদেশের গ্রাহকদের জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তির জ্বালানী সাশ্রয়ী মোটর সাইকেল (টু-হুইলার) উৎপাদন করবে। আগামী ৫ বছরে এ খাতে যৌথ বিনিয়োগের পরিমাণ হবে ৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে এ কারখানা উৎপাদনে যাবে। প্রথম বছরেই এটি দেড় লাখ পিস মোটর সাইকেল উৎপাদন করে স্থানীয় চাহিদার শতকরা ২০ ভাগ পূরণ করবে। হিরো ব্র্যান্ডের সকল মডেলের টু-হুইলারে ৫ বছরের বিক্রয়-উত্তর সেবার নিশ্চয়তা বা ওয়ারেন্টি থাকবে। এর ফলে বাংলাদেশে অটোমোবাইলখাতে খুচরা যন্ত্রাংশ প্রস্তুতকারী শিল্প প্রসারের পাশাপাশি বিশ্বমানের প্রযুক্তি স্থানান্তরের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী ভারতীয় কোম্পানির বাংলাদেশে বিনিয়োগের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, এর ফলে দীর্ঘ মেয়াদে বাংলাদেশের যানবাহন উৎপাদন শিল্পে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির প্রসার ঘটবে। এ উদ্যোগ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রচুর কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি দেশের সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
আমির হোসেন আমু বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি সম্ভাবনাময় দেশ। সরকার গৃহীত নীতির ফলে ইতোমধ্যে বাংলাদেশের শিল্পখাতে গুণগত পরিবর্তন সূচিত হয়েছে। ফলে দেশে জাহাজ নির্মাণ, জাহাজ ভাঙ্গা ও রিসাইক্লিং, অটোমোবাইল, হালকা প্রকৌশল, প্লাস্টিক, আইসিটি, ওষুধ, রাসায়নিক সার, ইলেক্ট্রিক ও ইলেক্ট্রনিক্স, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ ও কৃষিভিত্তিক শিল্প, চামড়া, পাট ও পাটজাত পণ্যের মত বেশ কিছু উদীয়মান শিল্পখাত আত্মপ্রকাশ করেছে।
শিল্পমন্ত্রী এসব খাতে ভারতের আলোকিত উদ্যোক্তাদের বিশ্বমানের প্রযুক্তি নিয়ে সরাসরি কিংবা যৌথ বিনিয়োগে এগিয়ে আসার পরামর্শ দেন। বাংলাদেশের নিজস্ব ব্র্যান্ডের যানবাহন উৎপাদনের লক্ষ্য অর্জনে যেসব শিল্প উদ্যোক্তা বিনিয়োগে এগিয়ে আসবে, তাদেরকে সর্বাত্মক সহায়তা দেয়া হবে বলে তিনি জানান।
COMMENTS