গাজীপুর শহরে যুবক খুনের ঘটনায় সোমবার এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলা হয়নি। এলাকার লোকজন বলছেন, নিহত সেলিম একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী।
সেলিম ও তার বাহিনীর সদস্যদের ছিনতাই ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে এলাকার লোকজন অতিষ্ট ছিল। অতি সম্প্রতি শহরে তার সন্ত্রাসী তৎপরতা বেড়ে যায়। তার মৃত্যুতে এলাকায় স্বস্তি ফিরে এসেছে বলে এলাকাবাসী জানায়।
জয়দেবপুর বাস মালিক সমিতির নেতা আলকাস মিয়া জানান, নিহত সেলিম একজন সন্ত্রাসী। তিতাস গ্যাস অফিসের কর্মচারী আব্দুল জলিল, জয়দেবপুর বাজারের চাল ব্যবসায়ী চান মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীরসহ ডুয়েটের এক শিক্ষার্থীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে সে আহত করে, বিলাসপুরের জনৈক কনকের বাড়ি ভাংচুর এবং তারিনী মেম্বারের স্ত্রীকে লাঞ্ছিত করে। এছাড়া আগে পরে অনেক ছিনতাই, চুরি, জোরপূর্বক ধর্ষণ ঘটনায় সে একাধিকবার আটক হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জয়দেবপুর বাজারের একজন ব্যবসায়ী জানান, সেলিম নিহতের ঘটনা নিছক দুর্ঘটনা, এলাকার লোকজন হত্যার উদ্দেশ্যে তাকে কেউ আঘাত করেনি। গণপিটুনিতে সে মারা গেছে।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আঃ করিম জানান, নিহত সেলিম সন্ত্রাসী ছিল এতে কোন সন্দেহ নেই কিন্তু তার মৃত্যু নিয়ে একটি মহল এলাকার কিছু নিরীহ লোককে আসামী করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করতে চাচ্ছে।
এদিকে জয়দেবপুর থানার এস.আই মাহফুজুর রহমান জানান, ঘটনার ব্যাপারে তিনি একটি অভিযোগ পাওয়া গেলেও তা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়নি। তার বিরুদ্ধে জয়দেবপুর থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। পুলিশে খাতায় সে একজন সন্ত্রাসী ছিল।
উল্লেখ্য, রবিবার সন্ধ্যায় জয়দেবপুর মাছবাজার এলাকায় ক্ষুব্ধ জনতা সেলিমকে গণপিটুনি দেয় এবং একটি হাত কেটে ফেলে। গাজীপুর সদর হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সে গাজীপুর মহানগরীর উত্তর বিলাশপুর এলাকার একটি বস্তিতে বসবাস করতো। তার বাবার নাম আনোয়ার হোসেন।
COMMENTS