জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে গিয়ে হামলা ও বাধার মুখে পড়েছে অভিযান দল। এতে অভিযান দলের ১২ শ্রমিক আহত হয়েছেন।
বুধবার সকাল ১১টার দিকে থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। পরে বেলা ১১টার দিকে রেলওয়ের ফলপট্টিতে গেলে সেখান থেকে অভিযান দল দখলকারীদের বাধার মুখে পড়ে অভিযান বন্ধ করে দেয়। আহতরা হলেন- ফেরদৌস, হামিদুল, আনোয়ার, রফিকুল-১, নূরুন্নবী, মোল্লা, শহীদ, কাজল, রফিক-২, আবুল বাসার, দেলোয়ারসহ অজ্ঞাত আরো ৪জন। তাদেরকে ওষুধের দোকান থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
অভিযানে নিয়োজিত রেলওয়ের ঢাকা ডিভিশনাল স্টেট অফিসার নূরুন্নবী কবির জানান, সম্প্রতি জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনের অবৈধ স্থাপনা ও দখলদারদের একটি তালিকা তৈরী করা হয়েছে। তবে তিনি তালিকায় কতজন দখলদার রয়েছেন ওই তালিকার মোট সংখ্যা জানাতে পারেননি। তিনি জানান, বুধবার সকাল ১০টার দিকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। রেলওয়ের সীমানা প্রাচীরের ভেতর থেকে অর্ধশতাধিক দোকানপাট উচ্ছেদ করেন। পরে বেলা ১১টার দিকে রেলওয়ের ফলপট্টিতে উচ্ছেদ করতে যান। সেখানে দখলকারীরা অভিযানে নিয়োজিত শ্রমিকদের ওপর ইটপাটকেল-লাঠিসোটা নিয়ে হামলা ও ধাওয়া করে। এরপর অভিযানটি বুধবারের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। রেলপথ সম্প্রসারণ কাজের অংশ হিসেবে ওই অভিযান চালানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ধাওয়া ও হামলায় কমপক্ষে ১৫ জন শ্রমিক আহত হন। এসময় গাজীপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন সুলতানা অভিযানের বিচারিক দায়িত্বে ছিলেন।
অভিযানের ব্যাপারে চা স্টলের মালিক জোস্না বেগম বলেন, কোনোরকম সময় না দিয়েই রেলওয়ের লোকজন দোকানপাট ভাঙ্গা শুরু করে। আমরা নিজ দায়িত্বে দোকানপাট সরানোর কাজ করলেও ওইসব লোকজন দা দিয়ে কুপিয়ে দোকানপাট ভাংচুর করে। তিনি অভিযোগ করেন, রেলওয়ের লোকজন প্রতিদিন প্রতি দোকান থেকে ৪৫ টাকা করে চাঁদা নিয়ে থাকে।
হোটেল মালিক শামসুল হক ও আব্দুল হাকিম রেলওয়ের এস্টেট বিভাগের লোকদের ব্যাপারে প্রতিদিন ৪৫ টাকা করে চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ করেন। পরিবার পরিজন নিয়ে জীবিকা নির্বাহের একমাত্র সম্বল হোটেলের চাল-চুলা এখন আর কিছুই নাই। অভিযোগের ব্যাপারে রেলওয়ের ঢাকা ডিভিশনাল এস্টেট অফিসার নূরুন্নবী কবির কোনো কথা বলতে রাজী হননি।
COMMENTS