‘হিজ কন্ডিশন ইজ ভেরি ক্রিটিক্যাল’ বললেন ডা. বরেণ চক্রবর্তী। প্রবীণ সাংবাদিক এবিএম মূসার শারীরিক অবস্থা জানতে চাইলে এক কথায় এমনটাই জানালেন এই সিনিয়র কনসালট্যান্ট। রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন ৮৩ বছর পার হওয়া প্রথিতযশা সাংবাদিক এবিএম মূসা।
মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর ল্যাবএইডে কথা হয় ডা. বরেণ চক্রবর্তীর সঙ্গে। এম মূসার দীর্ঘদিনের এই চিকিৎসক তিনি। তবে, শারীরিক অবস্থার অবনতি হলেও চিকিৎসকরা আশাবাদী।
১০ বছর ধরে এবিএম মূসার চিকিৎসা করছেন ডা. বরেণ। সোমবার মধ্যরাত থেকে লাইফ সাপোর্টে থাকা প্রবীণ এ সাংবাদিককে ফেরাতে সকল চেষ্টা করে যাচ্ছে তার নেতৃত্বাধীন বিশেষ টিম।
তিনি বলেন, তার (এবিএম মূসা) অবস্থা এখন আশঙ্কাজনক। ডেঞ্জার পয়েন্টে রয়েছেন। কিন্তু আমরা চেষ্টা করছি। আশা করছি, ঠিক হয়ে যাবেন। আশাতো রাখতেই হয়।
এ চিকিৎসক আরও বলেন, বছর দুয়েক আগেও তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়ার প্রয়োজন পড়েছিল। কিন্তু সে অবস্থা থেকে তাকে ফেরানো সম্ভব হয়েছে। এবারের অবস্থা যদিও আগের মতো নয়। আরও একটু জটিল…, এখন দেখা যাক।
তিনি বলেন, সোমবার রাত আড়াইটার দিকে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয় এবিএম মূসাকে। কোনোভাবেই তার শরীরে রক্ত স্বাভাবিক কাজ করছে না। বারবার রক্ত দিলেও তার দেহে রক্তকণিকা ভেঙ্গে যাচ্ছে।
এ রোগের নাম মাইলো ডিসপ্লাস্টিক সিনড্রোম- যা ব্লাড ক্যান্সারের মতোই, বলেন ডা. বরেণ।
ল্যাবএইড হাসপাতালে সিসিইউতে সার্বক্ষণিকভাবে এবিএম মূসার তদারকি করছেন অপর কনসালট্যান্ট হাবিবুর রহমান।
তিনি বলেন, এবিএম মূসার হার্টের পাম্পিং এখন মাত্র ২০ থেকে ৩০ শতাংশ। ৬০ শতাংশ হলে আশঙ্কা কম থাকতো।
মূসার চিকিৎসকরা জানান, পাম্পিং থেমে থেমে হচ্ছে। কিডনিও ড্যামেজ রয়েছে। ফুসফুসেও জীবাণু সংক্রমণ (ইনফেকশন) রয়েছে।
হাবিব জানান, এর আগে মূসার হার্টে বাইপাস হয় এবং পেসমেকারও বসানোর প্রয়োজন পড়ে। সব মিলিয়ে জটিলতা বেড়েছে। তিনি মনের জোরে চলছিলেন।
তবে চলতি এই সিনড্রোমের কারণে গত ছয় মাস ধরে মূসার অবস্থার অবনতি হতেই থাকে, জানান ডা. হাবিব।
এবিএম মূসার ছেলে ডা. নাসিম মূসা বলেন, জানুয়ারি থেকেই তার বাবার শরীরটা খারাপ হতে শুরু করে। গত শনিবার তার ফুসফুস ও হার্টে ত্রুটি দেখা দেয়। পরে সোমবার রাতে অবস্থা বেশি খারাপ হওয়ায় ল্যাবএইডে ভর্তি করা হয়।
এবিএম মূসার মেয়ে পারভীন সুলতানা ঝুমা জানালেন তার মাও (মূসার স্ত্রী সেতারা মূসা) শারীরিকভাবে খুবই অসুস্থ। তিনি প্যারালাইজড হয়ে আছেন।
ঝুমা বলেন, বাবার সঙ্গে তার দেখা করানোর ব্যবস্থা করছি। মা এখন আমার খালার বাসায় রয়েছেন।
COMMENTS