একসময় বাংলায় নববর্ষ পালিত হত আর্তব উত্সব বা ঋতুধর্মী উত্সব হিসাবে। তখন এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল
কৃষির, কারণ কৃষিকাজ ঋতুনির্ভর। এই ফসল তোলার সময়ের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে কর আদায়ের সুবিধার জন্যই মোঘল সম্রাট আকবর ১৫৮৪ সালে বাংলা সনের প্রবর্তন করেন। হিজরি চান্দ্রসন ও বাংলা সৌরসনকে ভিত্তি করে বাংলা সন প্রবর্তিত হয়। প্রথমে এ সন ফসলি সন নামে পরিচিত ছিল, পরে তা বঙ্গাব্দ নামে পরিচিত হয়। আর বৈশাখ নামটি নেওয়া হয়েছিল নক্ষত্র 'বিশাখা'র নাম থেকে। বিশাখা থেকে নাম হয়েছে বৈশাখ।
ধীরে ধীরে পহেলা বৈশাখ সামাজিক জীবনে ঘনিষ্ঠভাবে মিশে গিয়েছে। সেসময় বাংলার কৃষকরা চৈত্রমাসের শেষ দিন পর্যন্ত জমিদার, তালুকদার ও অন্য ভূ-স্বামীদের খাজনা পরিশোধ করতো। পরদিন নববর্ষে ভূ-স্বামীরা তাদের মিষ্টিমুখ করাতো। এ উপলক্ষে বিভিন্ন স্থানে মেলাসহ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হতো।
পহেলা বৈশাখের দিনে উত্সবের শুরুটা সেই আকবর আমলেই। এ দিনে তিনি মিলিত হতেন প্রজাদের সঙ্গে। সবার শুভ কামনা করে চারদিকে বিতরণ করা হত মিষ্টি। এরপর ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি আমলে বর্ষবরণ উত্সব চলে আসে জমিদার বাড়ির আঙিনায়। খাজনা আদায়ের মতো একটি রসহীন বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত হয় গান-বাজনা, মেলা আর হালখাতার অনুষ্ঠান। আজ আর খাজনা আদায় নেই। তবে 'হালখাতা' রয়েছে।
দেশের ব্যবসায়ী মহলে 'হালখাতা' অনুষ্ঠান মানে নতুন অর্থ বছরের হিসাব খোলা। নতুন বছরের প্রথম দিনটিতে নতুন একটি 'লাল কভারের' খাতায় হিসাব খুলে নতুন উদ্যমে শুরু করা হয় ব্যবসা। সেখানে অতীতের ভুল-ভ্রান্তিগুলো পর্যালোচনা করা হয়। হালখাতা থেকে নেয়া হয় নতুন পরিকল্পনা ও কর্মসূচি।
পহেলা বৈশাখের দিনে উত্সবের শুরুটা সেই আকবর আমলেই। এ দিনে তিনি মিলিত হতেন প্রজাদের সঙ্গে। সবার শুভ কামনা করে চারদিকে বিতরণ করা হত মিষ্টি। এরপর ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি আমলে বর্ষবরণ উত্সব চলে আসে জমিদার বাড়ির আঙিনায়। খাজনা আদায়ের মতো একটি রসহীন বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত হয় গান-বাজনা, মেলা আর হালখাতার অনুষ্ঠান। আজ আর খাজনা আদায় নেই। তবে 'হালখাতা' রয়েছে।
দেশের ব্যবসায়ী মহলে 'হালখাতা' অনুষ্ঠান মানে নতুন অর্থ বছরের হিসাব খোলা। নতুন বছরের প্রথম দিনটিতে নতুন একটি 'লাল কভারের' খাতায় হিসাব খুলে নতুন উদ্যমে শুরু করা হয় ব্যবসা। সেখানে অতীতের ভুল-ভ্রান্তিগুলো পর্যালোচনা করা হয়। হালখাতা থেকে নেয়া হয় নতুন পরিকল্পনা ও কর্মসূচি।
COMMENTS