নতুন মোবাইল ফোন, বিশেষ কওে স্মার্ট কিনে বন্ধুদের দেখাতে গিয়ে নিশ্চয়ই কেউ বিপাকে পড়তে চাইবেন না । এছাড়া অনলাইনের যুগে নিরাপত্তার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও আছে। কিছুটা সময় নিয়ে এসব বিষয় ঠিকঠাক করে না নিলে ব্যবহারকারীরা সমস্যায় পড়তে পারেন। এ লেখায় থাকছে মোবাইল ফোন (প্রধানত স্মার্টফোন) কেনার পর প্রথম যা করণীয়।
সাউন্ড সেটিং সামলান : বিপ, চাইম ও বাজ শব্দে অনেকেই বিরক্ত হন। কোনো অফিসের ভেতর এসব শব্দ সহকর্মীদেরও বিরক্তির কারণ হতে পারে। নতুন কেনা মোবাইল ফোন নিয়ে এ ধরনের বিব্রতকর পরিস্থিতিতেও পড়তে পারেন। এ কারণে সবার প্রথমে যে কাজ করা উচিত, তা হল ভলিউম, রিংটোন ইত্যাদি যুক্তিসঙ্গতভাবে সাজিয়ে নেয়া। নিজের ও আশপাশের মানুষের সুস্থতার জন্য এটা প্রয়োজন। তবে এ পর্যায়েই থেমে থাকবেন না। প্রাথমিক এ ঘাটাঘাটিতে শুধু আপনার ফোনের আচরণই বুঝবেন না, এতে আপনি ফোনের বিভিন্ন ফিচারও বুঝতে পারবেন। এ সময় ফোনের বিভিন্ন মেনু, সাব মেনু ও লুকানো অপশন দেখে নেয়া উচিত। কল ব্লকিং থেকে শুরু করে জেসচার কন্ট্রোল পর্যন্ত সব সেটিং সম্বন্ধে ধারণা নিন এ সময়। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েডসহ কিছু মোবাইল ফোন চালু করলে কয়েকটা অপশন আসে। এগুলোও দেখে নিতে হবে।
আপডেট চেক করুন : বিক্রির সময় মোবাইল ফোনের সফটওয়্যার অনেক সময় পুরনো ভার্সনের থাকে। ফলে কেনার পরই অপারেটিং সিস্টেমসহ বিভিন্ন সফটওয়্যারের কোনো আপডেট আছে কি না, তা চেক করে নিতে হবে। ইন্টারনেটে সংযুক্ত করে সেটিং মেনু থেকে এটা খুব সহজেই চেক করা যায়। যদি অপারেটিং সিস্টেম আপডেট না থাকে তাহলে প্রত্যেকটি অ্যাপ আলাদা করে আপডেট দিতে পারেন। যদি সেখানে অনেক আপডেট থাকে তাহলে সেটা কিছু সময় নিতে পারে। অনেক সময় রিস্টার্টও দিতে হতে পারে। ফলে এজন্য সময় নিয়ে বসতে হবে।
নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন : আপনার ফোনটি নানা অ্যাপস, গেমস ও মিউজিক দিয়ে ভর্তি করার আগে ফোনটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। এক্ষেত্রে অনেক কিছুই করার আছে। আপনার ফোনের নিরাপত্তা ফিচারগুলো সবার আগে দেখে নিতে হবে। যদিও এ কাজ করতে অনেকেই বিরক্ত হন। এছাড়া কিছু অ্যাপ আছে যেগুলোর সাহায্যে আপনার ফোন চুরি হলেও তা দূর থেকে লক করে দেওয়া যাবে। এ ছাড়াও কিছু মডেলের স্মার্টফোনের অবস্থান দূর থেকে নির্ণয় করা যায়। আবার উদ্ধার করা সম্ভব না হলে সেগুলোর ভেতরের তথ্য মুছে ফেলাও সম্ভব। এর মাধ্যমে ফোনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও উদ্ধার করা সম্ভব।
ক্লাউড স্টোরেজ ব্যবহার শুরু করুন : নতুন অনেক ফোন কেনার পর আপনি ক্লাউড স্টোরেজ ব্যবহারের অপশন পাবেন। এ ছাড়াও কন্টাক্ট, ফটো, ক্যালেন্ডার, মিউজিক ইত্যাদি ইন্টারনেটে বা ট্যাবলেট ও পিসিতে সংরক্ষণ করে রাখার অপশন পাওয়া যেতে পারে। আপনার যদি এগুলো ব্যবহার করার ইচ্ছে থাকে তবে তা এখনই শুরু করতে পারেন। এতে আপনার ফোনের তথ্য শুধু সংরক্ষণ করাই হবে না, এর ফলে আপনার তথ্য হারানোর ভয়ও অনেক কমবে। এর ফলে আপনার ফোন হারালেও নতুন ফোন কেনার সঙ্গে সঙ্গে সেসব তথ্য দিয়ে ফোনটি আগের মতো করা সম্ভব। এসময় আপনার কন্টেন্ট শেয়ারিং অপশন ও ফিচারগুলোর বিষয়ে ধারণা নেওয়া প্রয়োজন। কারণ অনেক সময় ফোনের ফটো, কন্ট্রাক্ট ইত্যাদি আপনার অজান্তেই অনলাইনে চলে যেতে পারে।
কাস্টমাইজ : আপনার মোবাইল ফোন নিরাপদ করার পরের অপশন হবে পছন্দমতো একে সাজিয়ে নেয়া। এজন্য পছন্দমতো ওয়ালপেপার ইত্যাদি সেট করতে পারেন। এরপর প্রয়োজনমতো অ্যাপ ডাউনলোড করা যেতে পারে। বহু কাজের উপযোগী, বিনোদনের কিংবা খেলার অ্যাপ ফোন নির্মাতাদের অনলাইন স্টোওে পাওয়া যায় । এগুলোর কিছু কিনতে অর্থ লাগে, কিছু আবার সম্পূর্ণ বিনামূল্যেই পাওয়া যায়।
COMMENTS