তিস্তা নদীতে হঠাৎ পানির ঢল নামায় বিএনপি তাদের লংমার্চের প্রাথমিক সাফল্য বলে দাবি করছে। কিন্তু আওয়ামী লীগে নেতারা বলছেন, তিস্তা অভিমুখে লংমার্চের ভয়ে পানি ছাড়েনি, বরং সরকাররের অব্যাহত প্রচেষ্টার ফলে ভারত সরকার পানি ছাড়তে শুরু করেছে।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টার পর থেকে হঠাৎ করে পানির ঢল নামে তিস্তায়। ডালিয়া পয়েন্টে প্রবাহিত হতে দেখা যায় তিন হাজার কিউসেক পানি। এর আগে সকাল ৯টায় বিএনপি তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে ঢাকা থেকে লংমার্চ শুরু করে। বর্তমানে তারা রংপুরে অবস্থান করছে।
তিস্তায় পানি আসা নিজেদের আন্দোলনের সফলতা বলেই দাবি করেছেন লংমার্চের নেতৃত্বে থাকা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘জানতে পেরেছি তিস্তায় কিছুটা পানি ছেড়েছে ভারত। আর এটা লংমার্চের কারণেই হয়েছে। আমাদের আন্দোলনের এটা প্রাথমিক সাফল্য। তবে আমরা এ বিষয়ে পুরোপুরি সফলতা চাই।’
অন্যদিকে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত বলেন, ‘বিএনপি যদি মনে করে এটা তাদের প্রাথমিক সফলতা, তাতে তাদের খুশি থাকতে বলেন। তাদের লংমার্চ জায়গায় পৌঁছানোর আগে ভারত পানি ছেড়ে দিয়েছে। এতে তিস্তা নিয়ে বিএনপির রাজনীতি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখন পাগলের প্রলাপ বকছে তারা।’
তিনি আরো বলেন, ‘এটা বিএনপির আন্দোলনের সফলতা নয়, সরকারের অব্যাহত চেষ্টার ফসল। তিস্তার পানি নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার চুক্তি করে রেখেছে। তার ধারাবাহিকতায় ভারত সরকার পানি ছাড়া শুরু করেছে।’
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নূহ উল-আলম লেনিন বলেন, ‘তিস্তায় পানি আসাকে বিএনপি যদি মনে করে তাদের সফলতা, তাহলে আমি বলবো তারা ইন্ডিয়ার দালাল! তারা দালালি করে তিস্তার পানি বন্ধ করে রেখেছিল। এখন আবার পানি ছেড়ে দেয়ার জন্য বলছে ভারতকে, যাতে করে দেশের মানুষকে বুঝাতে পারে এটা তাদের আন্দোলনের সফলতা।’
তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কের ওপর যাতে কোনো রকম প্রভাব না পড়ে এ জন্য তারা তিস্তার পানি ছেড়ে দিয়েছে। তিস্তা নিয়ে ভারতের সঙ্গে আমাদের সরকারের আগেই চুক্তি হয়েছে। তাদের দেশে নির্বাচন চলছে। আমরা আগেই বলেছি, নির্বাচন শেষে যে ক্ষমতায় আসবে তাদের সঙ্গে আলোচনা করে এর সমাধান করবো। আসলে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে প্রভাব পড়তে পারে এ জন্য ভারত পানি ছেড়ে দিয়েছে।’
COMMENTS