পলাশ প্রধানঃ টঙ্গীতে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী মুন্না (২২) আটক করেন টঙ্গী মডেল থানা পুলিশ। গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৩টায় ব্যাংকের মাঠ বস্তি থেকে আটক করেন।
নতুন বাজারের এক কনফেশনারীর নাম প্রকাশের দোকানদার জানান, দীর্ঘ কয়েক বছর জেল হাজত ভোগ করার পরে জামিনে বেরিয়ে পুরোদমে এখন মাদক ব্যবসায়ী মুন্না পাইকারী ও বিক্রেতা হিসেবে আর্বিভাব ঘটেছে। এই শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী এখন টঙ্গীর সকল মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে তাদের রয়েছে অর্ধশত ব্যবসায়ীদের আস্তানা হিসেবে মুন্নার ঘড়। আলোচিত মাদক ব্যবসায়ী মুন্নার তিনটি মামলার কারণে এলাকা থেকে গা ঢাকা দিলে পুরোদমে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে ফেন্সি মুন্না পরিচিত লাভ করেছে।
এলাকাবাসী জানায়, চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী মৃত শুক্কুর আলী ও পালিত বাবা ইদ্রিসের ছেলে মুন্না। এলাকাবাসী আরো জানায়, মুন্নার বউ ও নানীকে দিয়ে এলাকায় খুচরা মাদক চালান পরিচালনা করেন।
এবিষয়ে টঙ্গী মডেল থানার এস.আই আজিজ (পিপিএম) ও এ.এস.আই মো. লতিবুর রহমানের তারা বলেন, মুন্না এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে শীর্ষ স্থানে রয়েছে বলে জানা যায়। মুন্না ছাড়া, মুন্নার বউ ও নানীকে দিয়ে এলাকায় মাদক ব্যবসায় চালিয়ে যাচ্ছে। গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে ব্যাংকের মাঠ অভিযান করলে মুন্নাকে আটক করা হয়। তাছাড়াও মুন্নার তিনটি মাদক মামালা রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে আরও জানা গেছে, শিল্পনগরীর চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী মুন্না এখন ফেন্সী, ইয়াবা ট্যাবলেটসহ সকল ধরনের মাদক পাইকারী ও খুচরা বিক্রেতা। মাদক ব্যবসার সংবাদ আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে থাকলেও অদৃশ্য কারণে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা প্রহণ করছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। পুলিশের কতিপয় সদস্য ও মাদকদব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যরা সামান্য কিছু মাদক উদ্ধার দেখিয়ে নামমাত্র মামলা দায়ের করে। কিছু দিন না যেতেই তারা জামিনে মুক্তি পেয়ে ফের মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
টঙ্গী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইসমাইল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, পুলিশ মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সব সময় কাজ করছে। মাদক নির্মুলে পুলিশের ভূমিকা কঠোরতর। পুলিশের সোর্স রয়েছে। মাদক ব্যবসায়ীদের আটকের সব ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জানিয়ে বলেন, আমাদের সদস্যরা সব সময় মাঠে রয়েছে। দুর্বল স্বাক্ষী ও চার্জশীটের কারণে ব্যবসায়ীরা পার পেয়ে যাচ্ছে। মাদক ব্যবসা প্রতিরোধে ভ্রাম্যমান আদালতও মাঠে কাজ করছে।
COMMENTS