সাবেক সংসদ সদস্য, শ্রমিক নেতা ও বীরমুক্তিযোদ্ধা শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের ১০ম শাহাদাৎ বার্ষিকী বুধবার গাজীপুরের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে।
কর্মসূচীর মধ্যে ছিল মহানগরের হায়দরাবাদ এলাকার শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের কবরে দিনব্যাপী কোরআন খানি, পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন, খাদ্য বিতরণ, স্মরণসভা, মিলাদ মাহফিল ও বিনা মূল্যে অসহায় রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদান প্রভৃতি।
সকালে জেলা, উপজেলা, টঙ্গী থানা আওয়ামীলীগ, বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের বড় ছেলে জাহিদ আহসান রাসেল এমপিসহ সর্বস্তরের নানা শ্রেণী পেশার বিপুল সংখ্যক মানুষ শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের সমাধিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের সমাধি সংলগ্ন মাঠে ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক স্মরণসভার আয়োজন করা হয়।
স্মরণসভায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী ও গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আ. ক.ম মোজাম্মেল হক এমপ ’র সভাপতিত্বে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, মাহবুব-উল আলম হানিফ, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এমপি, আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাসিম, গাজীপুর জেলা পরিষদের প্রশাসক মোঃ আখতারুজ্জামান, গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. আজমত উল্লা খান, পূবাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনসুর আলম মৃধা প্রমুখ বক্তৃতা দেন।
গাজীপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। এতে অংশগ্রহণ করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শাহনওয়াজ দিলরুবা খান, মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রউফ নয়ন, আফাজ উদ্দিন মাষ্টার, শেখ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, প্রফেসর মোঃ আইনুদ্দিন, আলহাজ্ব মোঃ রমিজ উদ্দিন মাষ্টার প্রমুখ। দোয়া পরিচালনা করেন মোঃ আব্দুল বাতেন।
টঙ্গীর নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ফজলুল হক। এতে বক্তব্য রাখেন রেল মন্ত্রী মুজিবুল হক, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথ এমপি, বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. আজমত উল্লা খান, এড. মমতাজ উদ্দিন মেহেদী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের সন্তান পুত্র মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল এমপি, আওয়ামী লীগ নেতা আলিম উদ্দিন বুদ্দিন, এড. মোঃ ওয়াজ উদ্দিন, মোঃ আব্দুল হাদি শামীম, প্রমুখ।
প্রসঙ্গত ২০০৪ সালের ৭ মে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের আমলে নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারকে প্রকাশ্যে ব্রাশ ফায়ার করে হত্যা করা হয়। ২০০৫ সালের ১৬ এপ্রিল দ্রুত বিচার আইনে বিচারপতি শাহেদ নূরুদ্দিনের এজলাসে হত্যা মামলার রায় হয়। রায়ে প্রধান আসামী বিএনপি নেতা নূরুল ইসলাম সরকারসহ ২২ জনকে ফাঁসি দেয়া হয়। ৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়। এরমধ্যে প্রধান আসামীসহ ১৭ জন বিভিন্ন কারাগারে বন্দী রয়েছে। বাকী ১১জন আসামী পলাতক রয়েছে।
শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি গাজীপুর- ২ আসন হতে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে দুবার সংসদ সদস্য, ১৯৯০ সালে গাজীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ১৯৮৩ ও ১৯৮৭ সালে দুদফা পূবাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।
গাজীপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। এতে অংশগ্রহণ করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শাহনওয়াজ দিলরুবা খান, মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রউফ নয়ন, আফাজ উদ্দিন মাষ্টার, শেখ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, প্রফেসর মোঃ আইনুদ্দিন, আলহাজ্ব মোঃ রমিজ উদ্দিন মাষ্টার প্রমুখ। দোয়া পরিচালনা করেন মোঃ আব্দুল বাতেন।
টঙ্গীর নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ফজলুল হক। এতে বক্তব্য রাখেন রেল মন্ত্রী মুজিবুল হক, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথ এমপি, বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. আজমত উল্লা খান, এড. মমতাজ উদ্দিন মেহেদী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের সন্তান পুত্র মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল এমপি, আওয়ামী লীগ নেতা আলিম উদ্দিন বুদ্দিন, এড. মোঃ ওয়াজ উদ্দিন, মোঃ আব্দুল হাদি শামীম, প্রমুখ।
প্রসঙ্গত ২০০৪ সালের ৭ মে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের আমলে নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারকে প্রকাশ্যে ব্রাশ ফায়ার করে হত্যা করা হয়। ২০০৫ সালের ১৬ এপ্রিল দ্রুত বিচার আইনে বিচারপতি শাহেদ নূরুদ্দিনের এজলাসে হত্যা মামলার রায় হয়। রায়ে প্রধান আসামী বিএনপি নেতা নূরুল ইসলাম সরকারসহ ২২ জনকে ফাঁসি দেয়া হয়। ৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়। এরমধ্যে প্রধান আসামীসহ ১৭ জন বিভিন্ন কারাগারে বন্দী রয়েছে। বাকী ১১জন আসামী পলাতক রয়েছে।
শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি গাজীপুর- ২ আসন হতে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে দুবার সংসদ সদস্য, ১৯৯০ সালে গাজীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ১৯৮৩ ও ১৯৮৭ সালে দুদফা পূবাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।
COMMENTS