কাপাসিয়ায় মাদরাসা পড়ুয়া ছাত্রী অপহরণ ও গণধর্ষণের ১৫ দিন পর গত বুধবার পার্শ্ববর্তী মনোহরদী উপজেলার চালাকচর বাজারের পাশের জংঙ্গল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার ধর্ষিতার মাতা সামসুন নাহার বাদী হয়ে কাপাসিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। ধর্ষিতাকে গাজীপুর ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য গাজীপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পারিবারিক ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ইকুরিয়া গ্রামের আলাউদ্দিনের ৭ম শ্রেনীতে পড়ুয়া কন্যা (তানিয়া) (১৩) গত ২২ এপ্রিল বাড়ি থেকে সিরাজিয়া দাখিল মাদরাসায় যাবার পথে কবিরের বাজার এলাকা আসে। এ সময় খিরাটি মানিক বাজার এলাকার মাজহারুল (২৫), খিরাটি গ্রামের সজিব (২২), আরিফ (২২), রাজিব (২২) এবং কামারগাঁও গ্রামের কাওসার (৩০) মাইক্রো বাস যোগে এসে জোর পূর্বক তাকে অপহরণ করে নিয়ে।
এদিকে তার পরিবার সম্ভাব্য স্থানে খোঁজ খবর করে না পেয়ে থানা পুলিশের জানায়। গত ৭ মে বুধবার বিকেলে তার (তানিয়া) পিতা জানতে পারে পার্শবর্তী মনোহরদী উপজেলার চালাকচর বাজারের পাশের জংঙ্গলে একটি মেয়ের লাশ পড়ে আছে। পরে তারা ওই স্থানে গিয়ে তাকে মুর্মূষু অবস্থায় উদ্ধার করে মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে।
শুক্রবার বিকেলে সে (তানিয়া) কিছুটা সুস্থ্য হলে অপহরণ ও গণধর্ষণের ঘটনা বর্ণনা দেয়। ধর্ষিতার পিতা-মাতা জানান, তাকে অপহরণ করে মনোহরদী উপজেলার কোন এক গ্রামের নির্জন বাড়িতে আটকে রেখে উল্লেখিত ব্যক্তিরা শারিরিক ভাবে নির্যাতন ও দিনের পর দিন পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এতে সে অসুস্থ্য ও অজ্ঞান হয়ে পড়লে ধর্ষকেরা তাকে মৃত ভেবে ওই জংঙ্গলে ফেলে দেয়। এ ব্যাপারে কাপাসিয়া থানার অফিসার ইন-চার্জ আহসান উল্লাহ্ ঘটনার সত্যতা স্বীকার ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান।
COMMENTS