এম.এ কবিরঃ সন্ত্রাস, মাদক ও চাঁদাবাজী বিরোধী এক বিরাট সর্বদলীয় সমাবেশ আজ বুধবার বিকেল ৩টায় মহানগরের জয়দেবপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়।
গাজীপুর মহানগরের ২৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ হান্নান মিয়া হান্নুুর সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সাংসদ, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গাজীপুরের পুলিশ সুপার মো. আবদুল বাতেন।
এছাড়াও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সদর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউল্লাহ মন্ডল, গাজীপুর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ওয়াজউদ্দিন মিয়া, বিএনপি নেতা ডাঃ সাহাব উদ্দিন, জামাত নেতা প্রফেসর হযরত আলী, জেলা বিএনপির সহসভাপতি আহাম্মদ আলী রুশদী, কাউন্সিলর খন্দকার নাজমুন নাহার, ২৬নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম খোকন, জাতীয় পার্টি নেতা এরশাদ হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা তাজুল ইসলাম, এডভোকেট জাকির হোসেনসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
সমাবেশে প্রধান অতিথি মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল এমপি বিপন্ন ভবিষ্যত প্রজম্মকে রক্ষার স্বার্থে দলীয় রাজনীতির উর্ধ্বে ওঠে ঐক্যবদ্ধভাবে সন্ত্রাস, মাদক ও চাঁদাবাজি বন্ধ করার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
গাজীপুর পুলিশের শুধু নিচু পর্যায়ের নয়, কর্মকর্তাদের মধ্যেও কারো কারো নানা ধরনের দোষ-ত্রুটি রয়েছে। এসব কর্মকর্তাকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার এবং প্রয়োজনে এ জেলা থেকে অসৎ পুলিশ কর্মকর্তাদের বিদায় দেয়ার জন্য তিনি জেলা পুলিশ সুপারের প্রতি আহ্বান জানান। এছাড়াও তিনি আওয়ামী লীগের কেউ সন্ত্রাস, মাদক ও চাঁদাবাজীর সাথে জড়িত থাকলে তাকে অপেক্ষাকৃত বেশি শাস্তির নির্দেশ দেন।
সুপার আবদুল বাতেন বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সমাজের নানা পেশায় অসৎ ও খারাপ লোক থাকার কথা উল্লেখ করে বলেন, মাদক কেনা-বেচায় কিংবা অন্য কোনভাবে পুলিশের কেউ সুবিধা নিতে গেলে ওই পুলিশকে আটকে তাকে খবর দিতে বলেন। তিনি আরও বলেন, মাদক-সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে ও তাদের কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে কেউ পুলিশ বাহিনীর চাকরিতে থাকতে পারবে না।
সভায় অন্যান্য বক্তারা সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবকদের চিহ্নিত করে নির্মূলের দাবি জানান।
সমাবেশে চাঁদা না দেয়ায় সন্ত্রাসী হামলায় আহত তিতাস গ্যাসে কর্মরত এক ব্যক্তিকে হাজির করা হয়। যা সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজীর বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর বিবেক ব্যাপক নাড়া দেয়।
এর আগে বিপুল উৎসাহ উদ্দিপনাসহ এলাকাবাসী সন্ত্রাস ও মাদক বিরোধী বিভিন্ন রকম ব্যানার, ফেস্টুন, ব্যান্ড পার্টি সহকারে খন্ড খন্ড মিছিল যোগ দিয়ে সমাবেশস্থল জনসমুদ্রে পরিণত করে।
COMMENTS