ডেস্ক: অন্তর্জাল প্রযুক্তির দিন কি এবার শেষ হতে চলল? তিউনিশিয়ার এক চিলতে শহর সায়াদার বাসিন্দারা অন্তত তাই মনে করছেন। সম্প্রতি তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের বিকল্প খুঁজে পেয়েছেন তাঁরা।
ছাদ, কার্নিশ, ঝুল-বারান্দা বা ঘুলঘুলি– বাড়ির বাইরের যে কোনও অংশে লাগানো খুদে অ্যান্টেনার সাহায্যে মহল্লার এ-প্রান্ত থেকে ও-প্রান্ত, এমনকি গোটা শহর জুড়ে নামমাত্র খরচে গড়ে উঠেছে অত্যাধুনিক সংযোগ ব্যবস্থা। ইন্টারনেট নয়, এখানে ব্যবহার করা হয়েছে সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রযুক্তি, তথ্য প্রযুক্তির দুনিয়ায় যার পরিচিতি ‘মেশ নেটওয়ার্ক’ নামে। মেশ-এর জন্ম বৃত্তান্ত লুকিয়ে রয়েছে তিউনিশিয়ার গণ অভ্যুত্থানের অগ্নিভ দিনগুলিতে।
২০১১ সালে তদানীন্তন সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে গর্জে ওঠে তিউনিশিয়ার জনগণ। গণ বিপ্লবের সেই সময়ে আন্দোলনকারীদের গতিবিধির উপর কড়া নজর রাখতে ইন্টারনেট প্রযুক্তির সাহায্য নেয় সরকার। আড়ি পাতা হয় বিক্ষোভকারী নেতাদের ই মেল ও সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং বার্তার উপর। নজরদারি এড়াতে নিরুপায় আন্দোলনকারীরা বিকল্প যোগাযোগ ব্যবস্থার তালাশ শুরু করেন। পরবর্তীকালে তারই ফসল মেশ নেটওয়ার্ক। ইন্টারনেট প্রযুক্তির সাহায্য ছাড়াই এর মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে খবর দেওয়া-নেওয়া করতে শুরু করেন সরকার বিরোধীরা।
W58-XG_1সরকার উত্খাত হওয়ার পর স্বাধীন দেশেও মেশ নিয়ে চিন্তা-ভাবনা চলতে থাকে। সরকারের তরফে এই খাতে ইতিমধ্যে ২৮ লক্ষ ডলার বরাদ্দ করা হয়েছে। এমনকি, তিউনিশিয়ার উদাহরণ মাথায় রেখে মেশ ব্যবহারে উত্সাহী হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও। ইতিমধ্যেই ডেট্রয়েট শহরের গরিব পাড়ায় এবং ‘হারিকেন স্যান্ডি’র সময় ব্রুকলিনের বাসিন্দাদের মধ্যে যথেষ্ট সাড়া ফেলে দিয়েছে এই প্রযুক্তি।
মার্কিন সরকারের বিশ্বাস, বিশ্বজোড়া ইন্টারনেট হ্যাকিংয়ের দৌলতে গুরুত্বপূর্ণ ও গোপন তথ্য ফাঁস হওয়ার ভীতি এবার মেশের সৌজন্যে অবশ্যই দূর হতে চলেছে।
ছাদ, কার্নিশ, ঝুল-বারান্দা বা ঘুলঘুলি– বাড়ির বাইরের যে কোনও অংশে লাগানো খুদে অ্যান্টেনার সাহায্যে মহল্লার এ-প্রান্ত থেকে ও-প্রান্ত, এমনকি গোটা শহর জুড়ে নামমাত্র খরচে গড়ে উঠেছে অত্যাধুনিক সংযোগ ব্যবস্থা। ইন্টারনেট নয়, এখানে ব্যবহার করা হয়েছে সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রযুক্তি, তথ্য প্রযুক্তির দুনিয়ায় যার পরিচিতি ‘মেশ নেটওয়ার্ক’ নামে। মেশ-এর জন্ম বৃত্তান্ত লুকিয়ে রয়েছে তিউনিশিয়ার গণ অভ্যুত্থানের অগ্নিভ দিনগুলিতে।
২০১১ সালে তদানীন্তন সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে গর্জে ওঠে তিউনিশিয়ার জনগণ। গণ বিপ্লবের সেই সময়ে আন্দোলনকারীদের গতিবিধির উপর কড়া নজর রাখতে ইন্টারনেট প্রযুক্তির সাহায্য নেয় সরকার। আড়ি পাতা হয় বিক্ষোভকারী নেতাদের ই মেল ও সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং বার্তার উপর। নজরদারি এড়াতে নিরুপায় আন্দোলনকারীরা বিকল্প যোগাযোগ ব্যবস্থার তালাশ শুরু করেন। পরবর্তীকালে তারই ফসল মেশ নেটওয়ার্ক। ইন্টারনেট প্রযুক্তির সাহায্য ছাড়াই এর মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে খবর দেওয়া-নেওয়া করতে শুরু করেন সরকার বিরোধীরা।
W58-XG_1সরকার উত্খাত হওয়ার পর স্বাধীন দেশেও মেশ নিয়ে চিন্তা-ভাবনা চলতে থাকে। সরকারের তরফে এই খাতে ইতিমধ্যে ২৮ লক্ষ ডলার বরাদ্দ করা হয়েছে। এমনকি, তিউনিশিয়ার উদাহরণ মাথায় রেখে মেশ ব্যবহারে উত্সাহী হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও। ইতিমধ্যেই ডেট্রয়েট শহরের গরিব পাড়ায় এবং ‘হারিকেন স্যান্ডি’র সময় ব্রুকলিনের বাসিন্দাদের মধ্যে যথেষ্ট সাড়া ফেলে দিয়েছে এই প্রযুক্তি।
মার্কিন সরকারের বিশ্বাস, বিশ্বজোড়া ইন্টারনেট হ্যাকিংয়ের দৌলতে গুরুত্বপূর্ণ ও গোপন তথ্য ফাঁস হওয়ার ভীতি এবার মেশের সৌজন্যে অবশ্যই দূর হতে চলেছে।
COMMENTS