স্পোর্টস ডেস্কঃ বিশ্বকাপ এগিয়ে আসছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে রিও ডি জেনেরিওর দেয়ালে-দেয়ালে গ্র্যাফিটি, অর্থাৎ আধুনিক দেয়ালচিত্র। তবে রিও পৌরসভা গত ফেব্রুয়ারি মাসেই ডিক্রি জারি করে প্রকাশ্য স্থানে দেয়ালচিত্র অঙ্কনের অনুমতি দিয়েছে।
রিও পৌরসভার অনুশাসনটির নাম হল গ্রাফিতে-রিওদ। এই অনুশাসন অনুযায়ী কিছু বাছাই এবং তালিকাবদ্ধ সরকারি ভবন ছাড়া বাকি সব প্রকাশ্য স্থানে দেয়াল অঙ্কন চলবে। তবে সেই সব গ্র্যাফিটি বাণিজ্যিক, যৌনরসাত্মক, জাতিবাদী কিংবা বৈষম্যবাদি হলে চলবে না। রিও এর পৌরকর্তাদের অতোটা চিন্তা করার কোনো কারণ ছিল না। ফুটবল পাগল ব্রাজিলে বিশ্বকাপের গ্র্যাফিটির উপজীব্য স্বভাবতই ফুটবলকেন্দ্রিক হবে। তাই কোনো গ্র্যাফিটির ছবি ২০০২ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল দলের ফরোয়ার্ড রোনাল্ডোর। কোনোটি ব্রাজিলের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের স্মরণে। যা ঘটেছিল সুদূর ১৯৫৮ সালে, সুইডেনে। তবে সব দেয়াল অঙ্কনই যে নিরামিষ, এমন নয়। যে মারাকানা স্টেডিয়ামে এই বিশ্বকাপের চূড়ান্ত খেলাটি অনুষ্ঠিত হবে, তারই অদূরে একটি গ্র্যাফিটিতে বিশ্বকাপের মাসকট বা প্রতীকী প্রাণী, যা কিনা একটি আর্মাডিলো অর্থাৎ পিঁপড়ে খেকো, সেই নির্দোষ জীবটি আইনের প্রতীক ন্যায়ের নারীসুলভ মূর্তিটিকে বলাৎকার করছে। স্বভাবতই আইনের দুচোখ বাঁধা। মাসকটের পাশেই আবার লেখা, একটি বিশ্বকাপের কারণে কতোজন মানুষ বাস্তুহারা হয়? আরেকটি দেয়াল অঙ্কনে বিশ্বকাপের মাসকট ক্রাকদ ধূমপান করছে, আফটার দ্য কাপদ টি-শার্ট পরে।
আরেকটি গ্র্যাফিটিতে ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের উঠতি তারকা নেইমার এবং সেই সঙ্গে বিশ্বকাপের কাপটিকে দেখা যাচ্ছে। কিন্তু ওদিকে আবার একটি কালাশনিকভ রাইফেলের ছবি, তার নল থেকে একটি গোলাপ বেরিয়ে রয়েছে। আবার এ কথাও সত্যি যে, হালের বায়ার্ন স্টার ফ্রাঙ্ক রিবেরি থেকে শুরু করে ব্রাজিলের মহিমাম-িত অতীতের রোমারিও কিংবা পেলে, রিও'র প্রাচীরে- প্রাকারে ফুটবলের কিংবদন্তিরা সর্বত্র। অন্যত্র পর্তুগালের সাবেক মহারথীরা, যেমন গ্যারিঞ্চা কিংবা জেয়ারজিনিহো। অন্য দেয়াল চিত্রশিল্পীদের কাছে কোপাদ বা কাপ নিপীড়নের নামান্তর। তাদের গ্র্যাফিটিতে পাওয়া যাবে মলোটভ ককটেল _ মানে আগুনে বোমা । এমনকি যেসব শিল্পী রিও, তার কার্নিভাল এবং বিশ্বকাপের সমর্থক, তাদের দেয়াল অঙ্কনেও দেখতে পাওয়া যাবে, নেইমার কীভাবে একটি বলকে কিক করছেন। তবে বলের উপর যার মুখ অাঁকা, তিনি হলেন ফিফা'র প্রেসিডেন্ট সেপ ব্লাটার?
COMMENTS