শ্রীপুরের তেলিহাটি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আঃ বাছেদের বিরুদ্ধে অনিয়ম দূর্নীতি, জাল জালিয়াতি, ভলিয়মের পাতা ছেঁড়া, ঘষা-মাঝা, বনের জমি নামজারী এবং উৎকোচের বিনিময়ে নামজারী করার অভিযোগ করেছে ভূক্তভোগীরা।
স্থানীয় প্রিন্ট ও ওইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগন অপকর্মের সাক্ষাতকার নিতে গেলে তাদের উপর চড়াও হয় ওই ভূমি কর্মকর্তা। অপকর্ম ঢাকতে ভূমি কর্মকর্তা বাদী হয়ে ২০ মে মঙ্গলবার বিকেলে দৈনিক প্রাইম প্রত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হাফেজ আঃ আজিজ ও আঃলীগ নেতা আমির মড়লের বিরুদ্ধে শ্রীপুর থানায় সাধারণ ডায়রী করেন।
তার বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ তিনি উপজেলার শ্রীপুর পৌর ভূমি অফিস ও তেলিহাটি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে র্দীঘদিন যাবত কর্মরত থেকে টাকার কুমির বনে গেছেন। সম্প্রতি ড্যাবের মহা-সচিব ডা: জাহিদের মা জেবুন্নেছার নামে বাড়ী, বনের জায়গা, গো-হালট ও কবর স্থানের জায়গা সহ ১০ একর জমি ২৫ লাখ টাকার বিনিময়ে তার দাখিল করা প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে নামজারী করেন শ্রীপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজীজ হায়দার ভূইয়া।
বিষয়টি জানাজানি হলে ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার জিল্লার রহমান সরেজমিন তদন্ত করে ওই ইউএনওসহ তিন কর্মচারীকে স্ট্যান্ড রিলিজ করেন। ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে যান দুর্নীতির মূল হোতা ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা আঃ বাছেদ।
স্থানীয় সিরাজ উদ্দিন ও কামরুল মাস্টারের অভিযোগ জমির সকল কাগজ দাখিলের পরেও নামজারী ও জমাভাগ করতে ৩০ হাজার টাকা উৎকুচ দিতে হয়েছে ওই কর্মকর্তাকে। তেলিহাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আমির আলী মোড়ল জানান,ক্রয়কৃত জমিতে বাড়ী-ঘর নির্মাণের দীর্ঘ দিন পর স্থানীয় ভূমিদস্যুদের মিস মোকাদ্দমায় সরেজমিন তদন্ত ছাড়াই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন তিনি।
এ বিষয়ে তেলিহাটি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা (বড় নায়েব) আশ্রাফ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, আমির আলী মোড়লের নামজারী সঠিক। ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা (ছোট নায়েব)আঃ বাছেদ সরেজমিনে না গিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছেন। শ্রীপুরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজমুল ইসলাম ভূইয়া জানান, বিষয়টি তিনি শুনেছেন অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিবেন।
সাংবাদিক ও সম্পাদক হাফেজ আঃ আজিজ এর বিরুদ্ধে জি.ডি করায় শ্রীপুরে কর্মরত সংবাদকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। তারা অনতিবিলম্বে ওই কর্মকর্তার অপসারন দাবী করে বিভাগীয় শাস্তির দাবী করেন।
COMMENTS