টঙ্গীর এরশাদ নগরে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করে শনিবার রাতে প্রতিপক্ষের হামলায় ফায়সাল (২০) নামের এক যুবক খুন হয়েছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর মর্গে পাঠিয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, এরশাদ নগরে মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে স্থানীয় সন্ত্রাসী বিল্লাল গ্রুপ ও কাজল গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। বিল্লাল গ্রুপের বিলা এরশাদ নগরে একচেটিয়া ইয়াবার ব্যবসা করে আসছে।
অপরদিকে কাজল গ্রুপও এলাকায় ইয়াবার ব্যবসা চালু করলে এই দুই গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। বিল্লাল গ্রুপের দাপটে কাজল গ্রুপ এলাকায় টিকতে না পেরে তারা এরশাদ নগরের বাহিরে অবস্থান করে এলাকায় এসে গোপনে ইয়াবা বিক্রি করতো। শনিবার বিকেলে কাজল গ্রুপ সংঘবদ্ধ হয়ে এরশাদ নগরে ঢুকে বিল্লাল গ্রুপকে ধাওয়া দেয়।
এঘটনায় উভয় গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। রাত ৯টায় বিল্লাল গ্রুপ সংঘবদ্ধ হয়ে কাজল গ্রুপকে ধাওয়া দিয়ে এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এসময় ধাওয়া খেয়ে কাজল গ্রুপের সবাই পালাতে সক্ষম হলেও ফায়সাল একটি ড্রেনে পড়ে গেলে তাকে সেখানেই উপর্যপুরি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে বিল্লাল গ্রুপের সন্ত্রাসীরা।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় ফায়সালকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উত্তরার ইউএসএ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরে ফায়সালের সমর্থকরা থানায় না জানিয়ে হাসপাতাল থেকে লাশ এলালাকায় নিয়ে যায়। এসময় এলাকায় আরো উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ এলাকায় গিয়ে টহল জোরদার করে এবং রাত ১২টায় ফায়সালের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। নিহত ফায়সালের বাবা মঙ্গল কসাই থানায় সংবাদকর্মীদের এক সাক্ষাতকারে বলেন,‘আমার ছেলে ইয়াবা বিক্রি করতে রাজি ছিল না। সন্ত্রাসীরা তাকে জোর করে ইয়াবা ব্যবসায় বাধ্য করেছে।’
গত ১৯ মার্চ এরশাদ নগরে মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করে পুলিশের সোর্স নজির খুন হয়। নজির খুনের রেশ কাটতে না কাটতেই একই কারণে আরেকটি হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটলো। এদিকে ফায়সালও টঙ্গী থানার এসআই রাজিউর রহমানের সোর্স হিসেবে কাজ করতো বলে স্থানীয়রা জানান।
COMMENTS