গাজীপুরের চন্দ্রায় স্ত্রী ফরিদা হকের নামে একশ শয্যার একটি হাসপাতাল চালু করেছেন আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হক।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, এখানে রোগীদের শতকরা ৩০ ভাগ কম খরচে চিকিৎসা দেয়ার পাশাপাশি বিনামূল্যে ডায়াবেটিক পরীক্ষা করা হবে। হাসপাতালটিতে দরিদ্ররা সাশ্রয়ে চিকিৎসা সেবা পাবে বলে আশা করছেন এলাকাবাসী।
ঢাকার খুব কাছাকাছি হলেও গাজীপুরের চন্দ্রা এলাকায় আধুনিক স্বাস্থ্যসেবার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছিল না এতোদিন। বিশেষ করে ডায়াবেটিকের মতো একটি রোগ, যার জন্য নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রয়োজন হয়, সেজন্য এখানে ছিল না কোনো উন্নতমানের হাসপাতাল।
তবে এই সংকট কিছুটা হলেও সমাধান হলো, ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের প্রচেষ্টায় নির্মিত ডা. ফরিদা হক মেমোরিয়াল-ইব্রাহিম জেনারেল হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে। ১৮ কোটি টাকায় নির্মিত একশ শয্যার হাসপাতালটিতে রয়েছে অত্যাধুনিক দুটি অপারেশন থিয়েটার। এখানে রোগীরা বিনামূল্যে ডায়াবেটিক পরীক্ষার সুযোগ পাবেন। শিগগিরই চালু হবে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট।
শুরুতে কেবল ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য চিকিৎসা সেবা থাকলেও, পরে হাসপাতালের পরিধি বাড়ানো হয়। ফলে এখন ডায়াবেটিক রোগীদের পাশাপাশি সেবা পাবেন অন্য রোগীরাও। তাই নতুন এই হাসপাতালটি স্বপ্ন দেখাচ্ছে এলাকাবাসীকে।
১৯৯৫ সালে ডা. ফরিদা হক এই হাসপাতালটি চালাতেন সুবর্ণ ক্লিনিক নামে। সেসময় তিনি বেক্সিমকো ফার্মাসিটিউক্যালস এ চাকুরি করতেন। পাশাপাশি মা ও শিশুদের জন্য ১০ টাকা টিকেট করে চিকিৎসা সেবা দিতেন সুবর্ণ ক্লিনিকে। এরপর ২০০৮ সালে স্বল্প পরিসরে ডায়াবেটিক রোগীদেরও চিকিৎসা দেয়া শুরু হয় ক্লিনিকে। ২০১১ সালে সাতই জানুয়ারীতে, ডা. ফরিদা হকের মৃত্যুর পর ক্লিনিকটিকে একশো শয্যার হাসপাতালে উন্নীত করার কাজ শুর হয়। চলতি মাসের তিন তারিখে এখানে সাধারণের চিকিৎসা দেওয়া শুরু হয়।
COMMENTS