এম. এ. কবিরঃ ব্রা, প্যান্টি, গেঞ্জি, ক্যাপ, টাই, স্যান্ডেল, টয়লেট পেপার সবই যেন জাতীয় পতাকার ডিজাইনের আদলে তৈরী। রাস্তা ঘাট কিংবা বাড়ির ছাদে শোভা পাচ্ছে জাতীয় পতাকা। খাবার, পানীয়, বিড়ি সিগারেটের বক্স বা লাইটার , শোপিস অনেক কিছুতেই জাতীয় পতাকা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভ্রমনে গিয়ে এমনটিই দেখেছি। দেখেছি ঐসব দেশের নাগরিকদের দেশপ্রেম কত গভীর, কত হৃদয় ছোঁয়া! তাদের দেশ প্রেমে কমতি দেখিনি কোথাও। বর্তমান বিশ্বায়নের এ যুগে আমাদের দেশে যা আজ আর সর্বসাধারণে সহজলভ্য নয়।
আমাদের শত আবেগ, ভালবাসার ঐতিহাসিক লাল সবুজের পতাকাটি অর্জিত হয় ৩০ লাখ মানুষের তরতাজা রক্ত, ৩ লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে। তাই বিষয়টি স্যান্ডেল পর্যন্ত যাতে না গড়ায় সেজন্য আমাদের দেশে জাতীয় পতাকা আইন করে এর মর্যাদা সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যদিও আমি একজন মুক্তমনের মানুষ হিসেবে বিষয়টি মেনে নিতে কষ্ট হয়।
বর্তমানে আসন্ন ফিফা বিশ্বকাপ ২০১৪ উপলক্ষ্যে ফুটবল জ্বরে ভুগতে শুরু করে দিয়েছে এদেশের ফুটবল প্রিয় ভক্তরা। শহরের অলি গলি, গ্রাম-গঞ্জে, হাট-বাজারে সর্বত্র উঠে গেছে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, স্পেন, জার্মান, জাপান, ইতালি, ফ্রান্স, উরুগুয়ে, হল্যান্ড, ইংল্যান্ডসহ কয়েকটি দলের জাতীয় পতাকা। দিন দিন এদেশে এই পতাকা উড়ানোর মাত্রা চরম আকার ধারণ করছে। যা বিশ্বের আর কোথাও এমনটি আছে বলে আমার জানা নেই।
বাংলাদেশের সংবিধান মোতাবেক ভিনদেশী কোন পতাকা উড়াতে হলে সঙ্গে লাল সবুজের পতাকা অবশ্যই থাকতে হবে।
২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস, ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এবং ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে সাধারণ মানুষও নিজ নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাড়ি-গাড়িতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এ পতাকা উত্তোলনের ক্ষেত্রে সংবিধানে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দেয়া আছে। নির্দিষ্ট পরিমাণের কাপড় বা কাগজে এ পতাকা তৈরি করতে হয়। সকালে সূর্য উঠার পর পতাকা উত্তোলন এবং সূর্য ডুবার আগে পতাকা নামিয়ে ফেলতে হয়। ধীরে ধীরে পতাকা উত্তোলন করার পাশাপাশি নামানোর সময়ও সর্বোচ্চ সম্মান দেখিয়ে নামাতে হয়। নিয়ম অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তারা নিজেদের গাড়ি-বাড়িতে পতাকা ব্যবহার করার অধিকার রাখেন।
যাই হোক, বিশ্বকাপের উন্মাদনায় প্রশাসন পতাকা বিধি প্রয়োগে নমনীতার পরিচয় দিচ্ছে। তাই বলে রক্তে কেনা লাল সবুজের পতাকা বিহীন শুধুই কোনো ভিনদেশী পতাকা যেনো না উড়ানো হয় দেশপ্রেমিক হিসেবে আমাদের অবশ্যই তা খেয়াল রাখতে হবে।
আর্জেন্টিনা, ব্রাজিলের পতাকার উপড়ে লাল সবুজের পতাকা টাঙিয়ে দেয়া যেন আমরা ভুলে না যাই।
লেখকঃ তথ্য প্রযুক্তিবিদ ও সাংবাদিক
আমাদের শত আবেগ, ভালবাসার ঐতিহাসিক লাল সবুজের পতাকাটি অর্জিত হয় ৩০ লাখ মানুষের তরতাজা রক্ত, ৩ লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে। তাই বিষয়টি স্যান্ডেল পর্যন্ত যাতে না গড়ায় সেজন্য আমাদের দেশে জাতীয় পতাকা আইন করে এর মর্যাদা সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যদিও আমি একজন মুক্তমনের মানুষ হিসেবে বিষয়টি মেনে নিতে কষ্ট হয়।
বর্তমানে আসন্ন ফিফা বিশ্বকাপ ২০১৪ উপলক্ষ্যে ফুটবল জ্বরে ভুগতে শুরু করে দিয়েছে এদেশের ফুটবল প্রিয় ভক্তরা। শহরের অলি গলি, গ্রাম-গঞ্জে, হাট-বাজারে সর্বত্র উঠে গেছে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, স্পেন, জার্মান, জাপান, ইতালি, ফ্রান্স, উরুগুয়ে, হল্যান্ড, ইংল্যান্ডসহ কয়েকটি দলের জাতীয় পতাকা। দিন দিন এদেশে এই পতাকা উড়ানোর মাত্রা চরম আকার ধারণ করছে। যা বিশ্বের আর কোথাও এমনটি আছে বলে আমার জানা নেই।
বাংলাদেশের সংবিধান মোতাবেক ভিনদেশী কোন পতাকা উড়াতে হলে সঙ্গে লাল সবুজের পতাকা অবশ্যই থাকতে হবে।
২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস, ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এবং ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে সাধারণ মানুষও নিজ নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাড়ি-গাড়িতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এ পতাকা উত্তোলনের ক্ষেত্রে সংবিধানে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দেয়া আছে। নির্দিষ্ট পরিমাণের কাপড় বা কাগজে এ পতাকা তৈরি করতে হয়। সকালে সূর্য উঠার পর পতাকা উত্তোলন এবং সূর্য ডুবার আগে পতাকা নামিয়ে ফেলতে হয়। ধীরে ধীরে পতাকা উত্তোলন করার পাশাপাশি নামানোর সময়ও সর্বোচ্চ সম্মান দেখিয়ে নামাতে হয়। নিয়ম অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তারা নিজেদের গাড়ি-বাড়িতে পতাকা ব্যবহার করার অধিকার রাখেন।
যাই হোক, বিশ্বকাপের উন্মাদনায় প্রশাসন পতাকা বিধি প্রয়োগে নমনীতার পরিচয় দিচ্ছে। তাই বলে রক্তে কেনা লাল সবুজের পতাকা বিহীন শুধুই কোনো ভিনদেশী পতাকা যেনো না উড়ানো হয় দেশপ্রেমিক হিসেবে আমাদের অবশ্যই তা খেয়াল রাখতে হবে।
আর্জেন্টিনা, ব্রাজিলের পতাকার উপড়ে লাল সবুজের পতাকা টাঙিয়ে দেয়া যেন আমরা ভুলে না যাই।
লেখকঃ তথ্য প্রযুক্তিবিদ ও সাংবাদিক
COMMENTS