মানবদেহের অনেক চমকপ্রদ তথ্য রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে ২৫টি তথ্য মনের খোরাক জোগাবে। বিদেশী পত্রিকা অবলম্বনে লেখাটি পড়ুন।
১. একজন মানুষ তার পুরো জীবনে এতো লালা তৈরি করে, যা দিয়ে দুটি সুইমিংপুল ভরা যাবে।
২. একটি রক্ত কণিকা মানুষের শরীর ঘুরে আসতে সময় নেয় ৬০ সেকেন্ডে।
৩. অনেক সময় প্রসাব আটকিয়ে রাখলে আপনার মনে হতে পারে মূত্রথলী অনেক বড় হয়ে গেছে। আসলে তা হয়নি।
৪. বেশিরভাগ শিশু নীল বর্ণের চোখ নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এর রঙ বদলে যায়।
৫. একজন পশ্চিমা জীবদ্দশায় গড়ে ৫০ টন খাবার এবং ৫০,০০০ হাজার লিটার দুধ কিনে থাকে।
৬. আঙ্গুলের নখ ঝরে পড়লে নতুন করে তৈরি হতে সময় নেয় ১ থেকে ২ বছর।
৭. চোখকে নিয়ন্ত্রণ করার মাংসপেশী দিনে ১ লাখ বার কাজ করে।
৮. মানুষের পুরো জীবনে কমপক্ষে ৪০ পাউন্ড ত্বক খসে পড়ে।
৯. মানুষের মস্তিষ্ক ২০ শতাংশ অক্সিজেন এবং ক্যালোরি গ্রহণ করে।
১০. মানুষের প্রতিটি কিডনিতে রয়েছে ১ লাখ ফিল্টার, যা প্রতি মিনিটে ১ দশমিক ৩ লিটার রক্ত পরিস্কার এবং ১ দশমিক ৫ লিটার প্রসাব তৈরি করে।
১১. একজন নারীর ডিম্বাশয়ে ৫ লাখ ডিম্বানু থাকে কিন্তু সন্তান উত্পাদনের জন্য কাজ করে মাত্র ৪০০ ডিম্বানু।
১২. পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের প্রসাবের গন্ধ আলাদা।
১৩. পাকস্থলী নিজেকে হজম করে ফেলে না কেন? কারণ পাকস্থলীর কোষ ধ্বংস হওয়ার আগেই তৈরি হয়ে যায়।
১৪. শরীরের একবিন্দু ঘাম সৃষ্টিতে কাজ করে আধা-মিলিয়ন ঘামগ্রন্থি।
১৫. মানুষ জীবনের ৯০ শতাংশ তথ্য চোখের সাহায্যে সংগ্রহ করে।
১৬. নিজেকে নিজে সুুড়সুড়ি দেয়া অসম্ভব।
১৭. শিশুদের যৌনাঙ্গের ত্বক অনেক সময় পুড়ে যাওয়া কোন ব্যক্তির নতুন ত্বক তৈরিতে ব্যবহূত হয়।
১৮. মানুষের প্রতি পাউন্ড হাড্ডি কংক্রিটের চেয়ে চারগুণ মজবুত।
১৯. মানুষের শরীরের সবচেয়ে বড় অঙ্গ হলো ত্বক। প্রাপ্তবয়স্ক একজন মানুষের ত্বক ২০ ফুট লম্বা হয়ে থাকে।
২০. কোন কিছুর স্বাদ গ্রহণের জন্য আমাদের লালা সেটিকে অদৃশ্য করে দেয়।
২১. একজন পুরুষ প্রতিদিন ছয় মিলিয়ন শুক্রানুর জন্ম দেয়। যা দিয়ে ছয় মাসে পুরো পৃথিবীর জনসংখ্যা পূরণ করা যাবে।
২২. প্রতি ৩০ মিনিটে মানুষের শরীর যে পরিমাণ উত্তপ্ত হয় তা দিয়ে অর্ধেক গ্যালন পানি ফুটানো যাবে।
২৩. আমাদের ফুসফুসে ৩০ কোটি সূক্ষ্ম নল আছে। এই নলগুলো একটি পর একটি জোড়া লাগালে এর দূরত্ব হবে যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টা থেকে লস অ্যাঞ্জেলস পর্যন্ত।
২৪. যারা ঘন ঘন স্বপ্ন দেখে তাদের বুদ্ধিমত্তা অন্যদের তুলনায় বেশি।
২৫. মানুষ ঘুমুতে যাওয়ার আগ মুহূর্তে জাগ্রত অবস্থার তুলনায় এক সেন্টিমিটার খাটো হয়। কারণ মেরুদণ্ডের তরুণাস্থি ঘুমের সময় ধীরে ধীরে সংকুচিত হয়ে আসে।
COMMENTS