অভিষেকেই গোল! তাও আবার একটি নয়- দুই দুটি। বিশ্বকাপ ফুটবলে এমন ঘটনা বিরল। দুটি তো দূরে থাক, একটি গোল পাওয়ায় মুশকিল। ঠিক এমনই বিরল কৃতিত্ব দেখিয়ে ফিফা বিশ্বকাপের ২০ তম আসরে স্বাগতিক ব্রাজিলকে দারুণ সূচনা এনে দিয়েছেন নেইমার। ব্রাজিলের পোস্টার-বয় নেইমারের জোড়া গোলে স্বাগতিকরা ৩-১ গোলে হারিয়েছে ক্রোয়েশিয়াকে।
এদিন ম্যাচের চারটি গোলই আসে ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারদের পা থেকে। কোন টুর্নামেন্টে ব্রাজিলকে নিয়ে বলা হয়ে থাকে- বেলা যতোই বাড়ে তাদের তেজও ততোটাই বাড়ে। এদিনও এমন হয়েছে ব্রাজিলের। ম্যাচের শুরু থেকে ছন্দ পেতে বেগ পেতে হয় ব্রাজিলকে। বল নিজেরে পায়ে ধরে রাখলেও প্রতিপক্ষের গোলমুখ আলগা করতে পারছিল না তারা। উল্টো ম্যাচের ১১ মিনিটেই আত্মঘাতী গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়ে ব্রাজিল। এ সময় ক্রোয়েশিয়ার নিকিচা জেলাভিচ ব্রাজিলের গোলমুখে শট নেন। কিন্তু সেটা রুখতে গিয়ে নিজেদের জালেই বল জাড়িয়ে ফেলেন ব্রাজিলের রিয়াল মাদ্রিদ তারকা মার্সেলো। এরপর ২৭ মিনেটে লুকা মডরিচের মুখে আঘাত করে হলুদ কার্ড দেখেন নেইমার। যেটা আবার এবার বিশ্বকাপের প্রথম হলুদ কার্ড। এতে আরও চাপে পড়ে ষষ্ঠ শিরোপার মিশনে থাকা ব্রাজিল। তবে নাটকের দৃশ্যপট যেন এখন থেকেই পাল্টে যেতে থাকে। ঘুমন্ত সিংহ যেন জেগে ওঠে নেইমারদের মধ্যে। হলুদ কার্ড খাওয়ার তিন মিনিট বাদে দুর্দান্তভাবে ব্রাজিলকে সমতায় ফেরান নেইমার। বিশ্বকাপে নিজেরে প্রথম ম্যাচে এটি ছিল নেইমারের প্রথম গোল। প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-১ গোলে।
দ্বিতীয়ার্ধে ৭ মিনিটে ব্রাজিলকে আরেকটি গোল এনে দেন ওই নেইমার। এ সময় ফ্রেডকে ক্রোয়েশিয়ার বিপদসীমার মধ্যে ফেলে দিলে জাপানিজ কোচ উচি নিশিমুরা ব্রাজিলের পক্ষে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন। পেনাল্টির সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল কি-না তা নিয়ে চলছে নানান তর্ক-বিতর্ক। ক্রোয়েমিয়ার কোচ এই সিদ্ধান্তের জন্য ধুয়ে দিয়েছেন নিশিমুরাকে। বৃটিশ সংবাদমাধ্যমগুলোও বেশ চড়াওভাবে এ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে। তবে ফুটবল গোলের খেলা। নেইমার দারুণভাবে সেটা গোলে পরিণত করেন। আর ম্যাচের নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে ব্রাজিলেকে ৩-১ ব্যবধানের জয় নিশ্চিত করেন চেলসি ফরোয়ার্ড নেইমার।
এদিন ব্রাজিলের ফরোয়ার্ড ও ডিফেন্স নিয়ে সমর্থকা মোটামুটি খুশি হলেও হতাশ করেছে মধ্যমাঠ। পাউলিনহো, গুস্তাভোদের এদিন খুঁজেই পাওয়া যায় নি।
COMMENTS