খন্দকার মোশতাককে আওয়ামী লীগের কুলাঙ্গার আখ্যায়িত করে শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যাকান্ডের পর ‘কুলাঙ্গার’ মোশতাক নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেছিলেন।
শুক্রবার বিকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের শেষ দিনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের তীর্যক সমালোচনা করে বলেন- তার (খালেদা জিয়া) স্বামী খুনি, তিনি নিজে খুনি, তার ছেলে (তারেক রহমান) খুনি- গোটা পরিবারই খুনি। তাদের হাতে মুক্তিযোদ্ধার রক্ত, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের রক্ত, সাধারণ জনগণের রক্ত।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার স্বামী জিয়াউর রহমান ক্যু করে ক্ষমতায় এসেছিলেন। যারা খুনি তারাই ক্যু করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ঠেকাতে বিএনপি নেত্রী গাড়িতে পেট্রোল বোমা মেরে, আগুন দিয়ে নির্মমভাবে মানুষ হত্যা করেছে। তার নির্মমতা থেকে শিশু পর্যন্ত রেহাই পায়নি।
তিনি বলেন, জিয়া হত্যার পর একমাত্র আমিই প্রথম বিবৃতি দিয়েছি। তিনি যখন খুন হন, তখন আমি সিলেটে ছিলাম, গিয়েছিলাম মাজার জিয়ারতে। ফেরার সময় শুনি ‘ক্যু’ হয়েছে, জিয়াকে হত্যা করা হয়েছে। তখন দেশের এমন অবস্থাতে কেউ মুখ খোলেনি। আমি বিবৃতি দিয়েছিলাম। কারণ আমি চেয়েছিলাম দেশে আবার এ অজুহাতে মার্শাল ল’ না আসে।
১৯৭৫-এর পর থেকেই আওয়ামী লীগ ভাঙার ষড়যন্ত্র হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ হীরার খন্ড, তাকে যতই কাটা হবে- ততই দ্যুতি ছড়াবে।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ও এদেশের মানুষের স্বাধীনতা অর্জনের জন্যই আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়ে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছে বলে জানিয়েছেন দলটির সভাপতি ও শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের জন্ম, প্রতিষ্ঠা, সংগ্রাম ও আন্দোলন বাংলাদেশের মানুষের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য। স্বাধীন জাতি হিসেবে বাঙালিকে মর্যাদা দেয়ার জন্য।
বাঙালির যত প্রাপ্তি তার সবই দিয়েছে আওয়ামী লীগ এমন দাবি করে শেখ হাসিনা বলেন, ২৩ জুন বাঙালির জন্য একটি স্মরণীয় দিন। এ দিন দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছিল স্বাধীনতার জন্য। এ দেশে যা কিছু অর্জন সবই এনেছে আওয়ামী লীগ।
মঞ্চে উপস্থিত আছেন- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও এলজিআরডি মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী এবং আ’লীগের অন্য নেতারা।
সব ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে সভাস্থল ও এর আশপাশ ঘিরে প্রচুর সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
COMMENTS