গত বিশ্বকাপ ফাইনালে হারের জ্বালা জুড়াল নেদারল্যান্ডস। টোটাল ফুটবলে কমলা ঝড় তুলে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের বিধ্বস্ত করল ৫-১ গোলে। সবশেষ ১৯৬৩ সালে স্পেনকে ৬-২ গোলে হারিয়েছিল স্কটল্যান্ড। অর্থাৎ ৪১ বছর পর স্পেন কোন ম্যাচে হারল ৪ গোলের ব্যবধানে। ডাচদের হয়ে ফন পার্সি ও আরিয়ের রবেন ২টি করে আর অন্য গোলটি করেন ডি ব্রিজ।
ম্যাচের আগে কে ভেবেছিল স্পেনের এমন পরিণতি! আসলে ফুটবলটাই এমন। আগে থেকে কিছু বলা যায় না বলে সৌন্দর্য্যের পসরা সাজিয়ে হাজির হয় একেকটা ম্যাচে। অথচ এ ম্যাচের আগে বিশ্বকাপে টানা ৪৩৩ মিনিট গোল হজম করেননি ক্যাসিয়াস। সেই ক্যাসিয়াসের ভুলে ৫ গোলের দুটি হজম করেছে স্পেন। আবার তিনি অসাধারণ কিছু সেভ না করলে ১০ গোলও হজম করতে পারত স্পেন। তাহলেই বুঝুন স্পেনের ডিফেন্স নিয়ে কেমন ছেলেখেলা খেলেছে ডাচরা।
বিশ্বকাপের ফাইনালিস্ট কোন দল এবারই প্রথম মুখোমুখি হলো পরের আসরের গ্রুপ পর্বে। স্পেন-নেদারল্যান্ডসের তাই ছিল ফাইনালেরই আমেজ। অথচ ম্যাচটা হলো একতরফা। অবশ্য স্পেনই প্রথমে এগিয়ে যায় ২৭ মিনিটের পেনাল্টি গোলে। ডি ব্রিজ বক্সে ডিয়েগো কস্তাকে ফাউল করায় পেনাল্টি দেন রেফারি। তবে রিপ্লে থেকে মনে হয়েছে ব্লেইন্ডের পায়ে টোকা দিয়ে ইচ্ছে করে ডাইভ দিয়ে পেনাল্টি আদায় করেছেন কস্তা। জোড়ালো শটে স্পট কিক থেকে লক্ষ্যভেদ করেন জাবি আলন্সো।
প্রথমার্ধে তিকিতাকায় নিয়ন্ত্রন করলেও স্পেন গোল খেয়ে বসে ৪৪ মিনিটে। ৪৫ গজ দূর থেকে করা ব্লেইন্ডের দূর্দান্ত ক্রস অসাধারণ ডাইভিং হেডারে ক্যাসিয়াসের মতো গোলরক্ষককে বোকা বানান রবিন ফন পার্সি। হেড নেয়ার সময় ক্যাসিয়াস কোথায় আছেন সেটাও দেখেননি পার্সি। রিপ্লেতে যতবার হেডটা যত কোণ থেকে দেখানো হচ্ছিল প্রতিবারই মনে হচ্ছিল কবিতার ছন্দের কথা।
এ গোলে উজ্জীবিত হয়েই দ্বিতীয়ার্ধের পুরোটাই নিয়ন্ত্রণ করে নেদারল্যান্ডস। ৫৩ মিনিটে রবেন ব্যবধান দ্বিগুণ করার পর ৬৪ মিনিটে স্নেইডারের ফ্রিকিকে মাথা ছুঁইয়ে বল জালে জড়ান ব্রিজ।৭২ মিনিটে ক্যাসিযাস শিশুতোশ ভুলে বল ক্লিয়ার করতে না পারায় ব্যবধান ৪-১ করেন পার্সি। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে ৮০ মিনিটে আরেক গোল করে স্পেনের কফিনে শেষ পেরেকটা ঠুকেন রবেন।
COMMENTS