গাজীপুরে ডাকাতদের ছোড়া হাতবোমায় আহত ব্যবসায়ী চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার মারা গেছে। এঘটনায় জড়িত সন্দেহে উত্তেজিত এলাকাবাসী দু’জনকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে। নিহতের নাম বাবুল হোসেন (৪৭)। তার বাড়ী গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুরের মাধবপুর এলাকায়।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, বুধবার গভীর রাতে ১৫/১৬ জনের একদল সশস্ত্র ডাকাত ব্যবসায়ী আবুল হোসেনের গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুরের মাধবপুর এলাকার বাড়ীতে হানা দেয়। ডাকাতরা ওই বাড়ির ছাদ দিয়ে ঘরের ভিতরে ঢুকে অস্ত্রের মুখে সবাইকে জিম্মি করে। ডাকাত সদস্যরা প্রথমে আবুল হোসেনের ছেলে করিম ও তার স্ত্রীকে এলোপাতাড়ি মারধোর করে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায়। এসময়ে করিমের ছোট ভাই মনির এগিয়ে এলে ডাকাতরা তাকেও কোপায়। এতে তারা গুরুতর আহত হয়। আহতদের চিৎকার শুনে পাশের ঘর থেকে আবুলের ছোট ভাই বাবুল হোসেন এগিয়ে এসে ডাকাতদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। এসময় ডাকাতরা বাবুলকে লক্ষ্য করে ককটেল ছুড়ে মারে। ককটেলটি বাবুলের মাথায় পরে বিস্ফোরিত হলে সে গুরুতর আহত হয়। পরে ডাকাতরা ওই বাড়ি থেকে ১০/১২ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ৭০ হাজার টাকাসহ বিভিন্ন মালামাল লুট করে পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী আহত চার জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করে। রাজধানী ঢাকার এ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকালে আহত ব্যবসায়ী বাবুল হোসেন মারা যায়।
এঘটনার পর শনিবার বিকেলে স্থানীয় বড়ভবানীপুর এলাকায় শামসুল হক মেম্বারের বাড়ির পাশের জঙ্গলে লুকিয়ে রাখা ককটেল ও দেশীয় অস্ত্রসহ ডাকাতির সরঞ্জামাদি নেওয়ার জন্য এসে ডাকাতদলের দু’সদস্য সন্দেহজনক ঘোরাঘুরি করছিল। এসময় এলাকাবাসী তাদের আটক করে গণধোলাই দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উত্তেজিত জনতার কবল থেকে গুরুতর আহতাবস্থায় আটক বাদল (৩০) ও রাসেলকে (২৫) উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করে।
জয়দেবপুর থানার চক্রবর্তী পুলিশ ক্যাম্পের এএসআই আল আমিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, বড় ভবানীপুর এলাকার জঙ্গল হতে লুকিয়ে রাখা ককটেল ও দেশীয় অস্ত্রসহ ডাকাতির সরঞ্জামাদি পুলিশ উদ্ধার করেছে। শনিবার সেগুলো নিতে এসে জনতার হাতে দু’জন ধরা পড়ে।