![]() |
ফাইল ফটো |
নামাজ রোজা করেই কারাগারে সময় কাটছে জামায়াতের নায়েবে আমির দেলোওয়ার হোসেন সাঈদী। গাজীপুরের কাশিমপুরে পার্ট-১ থাকছেন তিনি।
ফাঁসির আসামি হওয়ায় তাকে হাসপাতালের সেলে রাখা হয়েছে। পবিত্র রমজানের বেশিরভাগ সময় কাটছে নামাজ রোজা করে। ফাঁসির আসামি হওয়া সত্ত্বেও চাল চলনে তাকে কখনো বিচলিত দেখা যায় না।
প্রতিমাসে একবার তাঁর স্বজনরা তাঁর সাথে দেখা করার সুযোগে পাচ্ছেন। কারাগারে সেহেরিতে তাকে গরম খাবার দেওয়া হয়। তাকে মাছ, গোশত, সবজি, ডাল, মোটা চালের ভাত সরবরাহ করা হয়।
ইফতারিতে সাঈদীর জন্য বরাদ্দ ২৮ টাকা। ছোলা, খেজুর, পেয়াজু দিয়ে ইফতার করেন তিনি।
দেলোওয়ার হোসেন সাঈদী সেহেরির সময় ওঠে তাহাজুদের নামাজ আদায় করেন। পরে সেহেরি খেয়ে ফজরের নামাজ আদায় করে ঘুমিয়ে পড়েন।
সকালে ঘুম থেকে ওঠে কোরআন তেলাওয়াত করেন। তাকে আড্ডা দিতে দেখা যায় না। বাকি সময় কাটে ধর্মীয় বিভিন্ন ধরনের বইপত্র পড়ে।
আত্মীয় স্বজন আসলে কারাবিধি মোতাবেক তাদের সাথে স্বাক্ষাৎ করে থাকেন। আত্মীয় স্বজনরা তার জন্য কারা ক্যান্টিনে কিছু অর্থ দিয়ে যান। ঐ অর্থ দিয়ে তিনি প্রয়োজন মত খাবার কিনে খেয়ে থাকেন। এছাড়ার তার তেমন কোন চাহিদা নেই।
সাঈদী সম্পর্কে কাশিমপুর কারাগার পার্ট-১ এর জেলার আমজাদ হোসেন ডন বলেন, কারাগারে অনেক মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত বন্দী রয়েছেন। সাঈদীও আমাদের এখানে রয়েছেন। কারাবিধি মোতাবেক তার সাথে আচারণ করা হয়ে থাকে।
২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ সাঈদীকে ফাঁসির আদেশ দেন। তাঁর বিরুদ্ধে আনা ২০টি অভিযোগের মধ্যে দুটি অভিযোগ (ইব্রাহিম কুট্টি ও বিসাবালী হত্যাকান্ড) সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় (আদালতের ভাষায়) এ সাজা দেওয়া হয়। আরও ছয়টি অভিযোগ প্রমাণিত হলেও ইতিমধ্যে সর্বোচ্চ সাজা দেওয়ায় এগুলোতে আলাদা করে দন্ড দেননি ট্রাইব্যুনাল।
তার আপিল শুনানিও শেষ। তার মামলাটি এখন রায়ের অপেক্ষায় রয়েছে।
উৎসঃ নিউজ পেজ২৪