গাজীপুরে মারিয়া (১০) নামের চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার পরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে গাজীপুর সদর হাসপাতালে ময়না তদন্ত করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ নিহতার বাসার নিরাপত্তাকর্মী আব্দুল আলিম (৪৩), একই বাসার ভাড়াটে সুমন (৩০) ও তার বন্ধু মিলনকে (২৫) আটক করেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মহানগরের কোনাবাড়ির এসরার নগরে ভাড়ায় বসবারত আক্তারুজ্জামানের মেয়ে এলাকার শাহীন ক্যাডেট একাডেমির চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী মারিয়া (১০) বাবা-মার সঙ্গে থাকত ছয় তলা ওই ভবনের তৃতীয় তলায়। সোমবার বিকালে স্কুল ছুটির পর সে বাড়ি না ফেরায় সন্ধ্যায় জয়দেবপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন তার বাবা। গভীর রাতে তাদের বাস ভবনের নীচতলার জেনারেটর কক্ষ থেকে প্রথমে মারিয়ার স্কুল ব্যাগ ও পরে চাদর দিয়ে ঢাকা অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে। স্কুল থেকে বাসায় ফিরে তিন তলায় ওঠার আগে আটক হওয়া সুমন কোয়েল পাখি দেয়ার লোভ দেখিয়ে মারিয়াকে জেনারেটর কক্ষে নিয়ে যায়। সেখানে সে মারিয়াকে ধর্ষণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় এবং বিষয়টি জানাজানি হওয়ার ভয়ে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ চাদর দিয়ে ঢেকে রাখে।
নিখোঁজ হবার ছয় ঘণ্টা পর সোমবার রাতে ওই স্কুলছাত্রী মারিয়া আক্তারের লাশ উদ্ধার করা হয় তাদের বাসার জেনারেটরের কক্ষ থেকে। দুপুরে এসরার নগর হাউজিং সোসাইটি এলাকায় তার জানাজা হয়। দাফনের জন্য মারিয়ার লাশ নিয়ে স্বজনরা তাদের গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের লক্ষীপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।