শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মূল্য আয় অনুপাতের (পিই রেশিও) হিসেবে দেশের ৫২ কোম্পানি ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় রয়েছে। এসব কোম্পানির পিই রেশিও মার্জিন ঋণ পাওয়ার অযোগ্য। এছাড়া এর মধ্যে অনেক কোম্পানির পিই রেশিও ঋণাত্মক। সূত্র, ডিএসই।
ঝুঁকিপূর্ণ পিই রেশিওতে অবস্থান করা কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে, এসিআই লিমিটেড (পিই রেশিও ৪১.২৫), আলহাজ্জ টেক্সটাইল (৭৪.৫৫), অলটেক্স ইন্ডাষ্ট্রিজ (ঋণাত্মক), এমবি ফার্মা (৭৫.৬), আনোয়ার গ্যালভানাইজিং (৯৫.২৫), এপেক্স স্পিনিং (৪১.৪৪), আরামিট সিমেন্ট (৬৬.১৮), বঙ্গজ (৮৮.০১), বিডি ল্যাম্পস (১২৭.৮৩), বিআইএফসি (৫২.০৮), বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি (৬৩.৭৩), ডেসকো (৫৯.৮৯), দেশ গার্মেন্টস (১১১.৬৭), ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস (৬৪.৩৯), ইস্টার্ন ক্যাবলস (৬৪.২৯), এক্সিম ব্যাংক (ঋণাত্মক), ফারইস্ট ফাইন্যান্স (৭৪.১৭), ফাইনফুডস (ঋণাত্মক), জেমিনী সী ফুড (ঋণাত্মক), আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক (ঋণাত্মক), আইডিএলসি (ঋণাত্মক), ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (ঋণাত্মক), ইমাম বাটন (ঋণাত্মক)।
ইনটেক অনলাইন (ঋণাত্মক), ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক (৫২), জেএমআই সিরিঞ্জ (৮৫.৫৮), জুট স্পিনার্স (ঋণাত্মক), কে অ্যান্ড কিউ (ঋণাত্মক), কোহিনূর কেমিক্যাল (৪২.১৪), লিগ্যাসী ফুটওয়্যার (১১০.৮৩), লিবরা ইনফিউশন (৯৯.৪৮), মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক (ঋণাত্মক), মেঘনা পিইটি (ঋণাত্মক), মাইডাস ফাইন্যান্স (ঋণাত্মক), মিরাকল ইন্ডাষ্ট্রিজ (৯০.৫৪), মুন্নু সিরামিক (১০২.১৪), মুন্নু জুট স্টাফলার্স (২৮১.৮৮), নর্দার্ন জুট (ঋণাত্মক), ন্যাশনাল টি (ঋণাত্মক), ন্যাশনাল টিউবস (৪০.৫৫), প্রিমিয়ার লিজিং (৬৪.১৭), রহিমা ফুড (ঋণাত্মক), রেনউইক যজ্ঞেশ্বর (৬২.১৪), সমতা লেদার (২৮৮.২১), শমরিতা হাসপাতাল (৪০.৪৫), সাভার রিফ্র্যাক্টরিজ (১১১.৫৪), শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক (ঋণাত্মক), শ্যামপুর সুগার (ঋণাত্মক), সিঙ্গার বিডি(৪৮.৫৩), সোনালী আঁশ (১৪১.৩৬), সোনারগাঁও টেক্সটাইল (ঋণাত্মক) এবং জিল বাংলা সুগার মিলস লিমিটেডের পিই রেশিও ঋণাত্মক অবস্থায় রয়েছে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের পুঁজিবাজারে ৪০ ঊর্ধ্ব কোম্পানিগুলো অতি ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ এসব কোম্পানিতে বিনিয়োগ করলে যে কোনো সময় লোকসানের সম্ভাবনা থাকে। এছাড়া গাণিতিক হিসাবে বিনিয়োগ ফেরত পেতেও পিই’র সমপরিমাণ সময় লাগে।
এ বিষয়ে মার্চেন্ট ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, পিই রেশিও বেশি হওয়া মানে কোম্পানির আয় কম হওয়া সত্ত্বেও শেয়ার দর বেশি হওয়া। আর যে সব কোম্পানির পিই ঋণাত্মক সেগুলো লোকসানে রয়েছে। তাই এসব কোম্পানিতে দেখেশুনে বিনিয়োগ করা উত্তম। আর ঝুঁকিপূর্ণ পিই রেশিওর শেয়ার কেনার ক্ষেত্রে মার্জিন লোন দেওয়া হয় না।