ঢাকা থেকে ৪০ কিলোমিটার উত্তরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বাঘের বাজার থেকে ৩ কিলোমিটার পশ্চিমে সাফারি পার্কটির অবস্থান। ৬৯০ একর জায়গার ওপর নির্মিত হয়েছে পার্কটি। এখানে বাঘ, সিংহ, হরিণ, কুমির, জিরাফ, জেব্রা, হাঁস, ময়ুর, ম্যাককাউসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি রয়েছে। এরা পার্কে উন্মুক্ত বিচরণ করছে। সাফারী বাস ও জিপে করে পর্যটকরা প্রাকৃতিক পরিবেশে বিচরণরত বাঘ, সিংহসহ বিভিন্ন পশুপাখি দেখতে ভিড় করছেন।
ঈদের ছুটির দিনগুলোকে রাঙামাটিতে দল বেঁধে মানুষ পরিবার পরিজন নিয়ে বেড়াতে আসছেন। এরই মধ্যে শহরের হোটেল মোটেলের সব রুম বুক হয়ে গেছে। ঈদের পর দিন থেকে পর্যটকের আগমণ বেড়ে যাওয়ায় ব্যস- সময় কাটাচ্ছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। সরকারি বন্ধ ও ঈদের লম্বা ছুটিতে ক্লান্তি দূর করতে মানুষ ছুটে আসছেন পাহাড় ও নদী ঘেরা পার্বত্য রাঙামাটিতে। শিশু কিশোররা মেতেছে আনন্দ উৎসবে।
এদিকে ঈদের দ্বিতীয় দিনেও রাজধানীর হাতিরঝিলে ছিল দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়।
বিকেলে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ ঘুরতে আসেন নিরিবিলি পরিবেশের হাতিরঝিলে। ছেলে-বুড়ো সব বয়সী মানুষই উপভোগ করেন পড়ন্ত বিকেলে ঝিলের সৌন্দর্য। পরিবার পরিজন নিয়ে যেমন আসেন অনেকেই, তেমনি একসঙ্গে ঘুরতে আসেন বন্ধুরাও। ঢাকার ভেতরে এরকম সুন্দর সড়ক, সেতু ও ভ্রমণের জায়গা আরো প্রত্যাশা করেন দর্শনার্থীরা।
রাজধানীর কাছাকাছি হওয়ায় সারা বছরই ভিড় লেগে থাকে সাভারের দর্শনীয় স্থানগুলোতে। আর ঈদের ছুটিতেতো কথাই নেই। ছেলে-বুড়ো বাচ্চা সব ধরনের পর্যটকদের ভীড়ে মুখরিত এখন জাতীয় স্মৃতি সৌধ, ফ্যান্টাসি কিংডম এবং নন্দন পার্ক।
ঈদ উপলক্ষে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি দর্শনীয় স্থানগুলো জমজমাট হয় উঠেছে। আলুটিলা, রিছাংঝর্না, দেবতা পুকুরসহ জেলা সদরের পর্যটন স্পটগুলোতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ভ্রমণপিপাসুরা। দীঘিনালার দুর্গম তৈদুছড়া ও বাঘাইহাটের ঝর্নাও বাদ যাচ্ছে না। হোটেল মোটেল গুলোতে আর তিল ধারণের জায়গা নেই।
ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের ভিড়ে মুখরিত এখন সবুজ পাহাড়ে ঘেরা শৈল শহর বান্দরবান। ইদের লম্বা ছুটি কাটাতে শহরের কোলাহল ছেড়ে হাজারো পর্যটক ছুটে গিয়েছেন সেখানে। পাহাড়ের মাঝে নীলাচল, নীলগিড়ি, মেঘলা, স্বর্ণমন্দিরসহ অসংখ্য পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে এখন উপচে পড়া ভিড়।