নরেন্দ্র মোদির রাজনৈতিক প্রচারের হাতিয়ারই নয়, সোশ্যাল সাইট এখন রাত করছে রঙিন। ফেসবুক-টুইটারকে ব্যবহার করে গ্রাহক বাড়াচ্ছে বিভিন্ন এসকর্ট সার্ভিস এজেন্সিগুলি। নয়া দিল্লি থেকে প্রকাশিত এক সংবাদপত্রে বলা হয়েছে, টুইটারের মতো মাইক্রো ব্লগিং সাইট ব্যবহারকারী প্রতি এক হাজার এসকর্ট সার্ভিস এজেন্সির মধ্যে দিল্লিতেই রয়েছে এমন এজেন্সির সংখ্যা প্রায় ২৫০। মুম্বাইয়ের এজেন্সি ২০০টি, বাকি এজেন্সিগুলি কলকাতা, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, চন্ডিগড়-সহ অন্যান্য শহরের।
ফেসবুক-টুইটারের এই এজেন্সিগুলির প্রোফাইল কিন্তু বেশ সাধারণ। বহিরঙ্গে আপনি টের পাবেন না এদের আসল রূপ। কিন্তু কেঁচো খুঁড়তেই বেরোল কেউটে। এজেন্সিগুলির ফলোয়ার্সের সংখ্যা কম, কিন্তু তার পিছনেও রয়েছে নির্দিষ্ট কারণ। মূলত হাই প্রোফাইল কাস্টমারদের সঙ্গে ব্যক্তিগত পরিচয় রেখে চলে এই এজেন্সিগুলি। তাই ব্যবসায়িক স্বার্থেই সুকৌশকে লো প্রোফাইল রাখে এজেন্সিগুলি। পাবলিক ফোরামে নয়, হোয়াটস অ্যাপে মডেলদের ছবি পাঠানো হয় নিয়মিত কাস্টমারদের।
গুরগাঁওয়ের এরকমই এক এসকর্ট এজেন্সির টুইটার প্রোফাইলে বলা হয়েছে, প্রফেশনাল মডেল ও বলিউডি তারকাদের সার্ভিস দেওয়া হয়। বিশেষ সূত্রের খবর, ভারতীয় মেয়েদের জন্য প্রতি দেড় ঘণ্টায় ৫ হাজার ও রাশিয়ান মেয়েদের জন্য ৭ হাজার টাকা দর হাঁকা হয়। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, বড়সড় রাঘব বোয়ালদের জন্যই লো-প্রোফাইল রেখে চলে এজেন্সিগুলি। ১০ হাজার থেকে লাখ দুয়েক টাকা পর্যন্ত লেনদেন চলে সোশ্যাল সাইটগুলির মাধ্যমে।