গাজা ভূখন্ডের কেন্দ্রস্থলে ডির আল বালাহ শহরের আল আকসা হাসপাতালে ট্যাংক হামলা করলো ইসরাইলি সৈন্যরা। হাসপাতালটির ৪র্থ তলায় তিনটি সেল নিক্ষেপ করে ইসরাইলি সৈন্যরা। এতে কমপক্ষে ৫ জন নিহত হবার খবর পাওয়া গেছে এবং আহত হয়েছে অন্তত ৭০ জন। পদাতিক যুদ্ধে তৃতীয়বারের মতো হাসপাতালে এ হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী।
সোমবারের হামলায় নারী ও শিশুসহ ৫০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে গত ১৪ দিনের ইসরাইলি আগ্রাসনে মোট ৫১৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হলেন।
গাজার খান ইউনিস শহরে গতরাতে ভয়াবহ বোমাবর্ষণের শিকার একটি বাড়ির ধ্বংসস্তুপের নীচ থেকে সোমবার ২০ ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া, দক্ষিণ গাজার একটি বাড়িতে ইসরাইলি কামানের গোলার আঘাতে নয় মাসের একটি শিশুসহ ১০ জন নিহত হয়েছে বলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
জানা গেছে, হাসপাতালটি ফিলিস্তিনি সরকার দেখভালো করত। এটা ছিল সাধারণ জনগণের চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল।
এ ঘটনায় হাসপাতালটির একজন চিকিৎসক জানিয়েছেন, আমাদের এখন আর কিছুই করার নেই। কারণ সব রোগীই ইমারজেন্সিতে রয়েছে। সবার অবস্থাই সংকটজনক।
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নিটানইয়াহুর মুখপাত্র মার্ক রিজিভ জানিয়েছেন, হামাসরা তাদের রকেট লাঞ্চারগুলো যেখানে লুুকিয়ে রেখেছে সেখানে হামলা চালানোর অনুমতি রয়েছে।
তিনি বলেন, আমার কোন সন্দেহ নেই তারা (হামাস) তাদের কাজের জন্য হাসপাতালগুলো ব্যবহার করছে। বেসামরিক জনগণের উপর হামলা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। তবে এ হামলার বিষয়ে তিনি তেমন কিছু জানেন না বলেও জানিয়েছেন।
অন্যদিকে হাসপাতালটির পরিচালক ড. মেদাট আব্বাস জানিয়েছেন, ইসরাইলের পক্ষ থেকে হামাস বাহিনী হাসপাতালে অস্ত্র রাখার যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণই মিথ্যা।
তিনি বলেন, আমি আন্তর্জাতিক সংগঠনের যে কারো সঙ্গে চ্যালেঞ্জ করতে পারি, আমাদের হাসপাতালে কোন অস্ত্র ছিল না। আমরা যে কোন তদন্তের জন্য প্রস্তুত রয়েছি।
যেকোন আন্তর্জাতিক সংস্থা হাসপাতালটিতে পর্যবেক্ষণ করতে পারে বলেও তিনি সাংবাদিকদের জানান।
ড. আব্বাস বলেন, এ মুহূর্তে গাজার কোন হাসপাতালটি নিরাপদ নয়। তারা (ইসরাইলি সৈন্য) পরিকল্পনামাফিক এ আক্রমণ চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এর আগে বৃহস্পতিবার গাজা হাসপাতাল ও ভেসমান ইলাসি হাসপাতালে ট্যাংক থেকে সেল নিক্ষেপ করে ইসরাইলি সৈন্যরা।