ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলের সামরিক আগ্রাসনে নিহতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত কমপক্ষে ৫০০ জন। ইরানের প্রেস টিভি জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার থেকে এ পর্যন্ত ১০৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, শুক্রবার দক্ষিণ গাজায় একটি বাড়িতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বেশ কয়েক জন হতাহত হয়েছেন।
সর্বশেষ সংঘাতের চতুর্থ দিনে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুকে ফোন করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশের পাশাপাশি উভয় পক্ষের মধ্যে পুনরায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরে ভূমিকা রাখার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তিনি।
হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, উভয়পক্ষের মধ্যকার বৈরিতা নিরসনে ভূমিকা পালনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে ২০১২ সালের নভেম্বরে কার্যকর যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিষয়টিও রয়েছে।
বলাবাহুল্য, ইসরায়েলের বিমান হামলায় গাজায় নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে নিরীহ শিশু এবং নারীরাও রয়েছে। এমতাবস্থায় জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুটিনও পরিস্থিতি শান্তি ফেরাতে বৈরিতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে, ইসরায়েলের একটি বিমানবন্দর লক্ষ্য করে হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছে হামাস। এ জন্য বেন গুরিয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ব্যবহারকারী বিমান কোম্পানিগুলোকে সতর্ক করেছে গোষ্ঠীটি। এছাড়া লেবানন থেকে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে রকেট ছোড়া হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী।
এদিকে ফিলিস্তিন অধিকৃত গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের বিমান হামলায় নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা ও শোক প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ। গাজায় ইসরাইলের আগ্রাসনের প্রতি নিন্দা জানানোর পাশাপাশি অনতিবিলম্বে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলা বন্ধের দাবি জানানো হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছে।