সিটি কর্পোরেশনের টঙ্গী অঞ্চলের কর নির্ধারক মোঃ জাকির হোসেন ও কর আদায়কারী মোঃ সিরাজের বিরুদ্ধে কর আদায়ের নামে মোটা অংকের উৎকোচ গ্রহণসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ৪৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের নেতৃত্বে এলাকার একাধিক মিল-কলকারখানার মালিক সিটি কর্পোরেশনের টঙ্গী আঞ্চলিক কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। আগামী রোববার সকালে অবস্থান ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে মিল-কলকারখানার মালিক পক্ষ।
টঙ্গীতে অবস্থিত একাধিক কারখানার মালিক ও শ্রমিকরা জানান, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন হওয়ার পর কর্তৃপক্ষ ওয়ার্ড কাউন্সিলরগণ ও অফিস কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের সমন্বয়ে এক জরুরী সভার মাধ্যমে সিটি কর্পোরেশনে ব্যবসায়িক, আবাসিক এবং শিল্প কলকারখানার বাৎসরিক কর কয়েকগুণ বৃদ্ধি করে একটি রেজুলেশন তৈরি করে। অদ্যাবধি উক্ত রেজুলেশন গেজেট আকারে প্রকাশ বা কোন প্রকার আদেশ জারী করা হয়নি। কিন্তু সিটি কর্পোরেশন টঙ্গী আঞ্চলিক অফিসের কর নির্ধারক মোঃ জাকির হোসেন বিভিন্ন কারখানার মালিক পক্ষের কর দাতাদের রাতের অন্ধকারে কখনো অফিসে, কখনো উত্তরার বিভিন্ন চাইনিজ রেস্তোরায় কিংবা কারখানায় স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে পুর্বের নির্ধারিত কর আদায় করেন। বকেয়া কর পরিশোধ না করলে ট্রেড লাইসেন্স নবায়ণ করা সুযোগ না থাকায় কারখানার মালিকরা বাধ্য হয়েই ওই কর্মকর্তাদের পাতানো ফাঁদে পা দিতে বাধ্য হন।
টঙ্গীস্থ হক এন্ড কোম্পানী লিঃ এর ইলেকট্রিক ইনর্চাজ মোঃ আক্তার হোসেন জানান, কর নির্ধারক মোঃ জাকির হোসেন টু-পাইস কামানোর ধান্ধায় তার নিজস্ব প্রাইভেটকারে সব সময় বিভিন্ন কারখানার কর বিষয়ক ফাইল নিয়ে ঘুরে বেড়ান এবং মালিক পক্ষের সাথে যোগাযোগ করে রাত ৮ টার পর নিজস্ব অফিসে বসে মিল মালিকদের সাথে কর আদায় সংক্রান্ত দফারফা করেন। অনেক সময় তিনি তার মোবাইল ফোনে মালিক পক্ষকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে মালিক পক্ষের লোকদের নিয়ে অভিজাত এলাকার বিভিন্ন চাইনিজ রেস্তোরায় কিংবা কারখানায় স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে পুর্বের নিধারিত কর আদায় করেন। কেউ অগ্রিম কর প্রদান করতে কর আদায়কারী মোঃ সিরাজের নিকট গেলে সে করের টাকা গ্রহন না করে কর নির্ধারক মোঃ জাকির হোসেনের সাথে দেখা করে আসার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
উলেখ্য, গত বুধবার বিকেল সাড়ে ৪ টায় হক এন্ড কোম্পানী লিঃ এর ইলেকট্রিক ইনর্চাজ মোঃ আক্তার হোসেন হক এন্ড কোম্পানী লিঃ এর পূর্ব নির্ধারিত করের ১ কিস্তি মোট ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা নিয়ে কর বিভাগের কর্মকর্তা মোঃ সিরাজের নিকট গেলে বর্তমানে সিটির আওতাধীন কারখানা গুলোর কর বেড়েছে, পূর্বের নির্ধারিত কর নেয়া যাবে না বলে জানান। আর যদি ১০ হাজার টাকা তাকে উৎকোচ প্রদান করা হয় তবে একটা ব্যবস্থা করে দেবেন। আক্তার হোসেন বিষয়টি তাৎক্ষনিক স্থানীয় ৪৬ নং ওর্য়াড কাউন্সিলর মোঃ নুরুল ইসলাম নুরুকে জানালে তিনি ঐ কর্মকর্তার কাছে গিয়ে ১০ হাজার টাকা অতিরিক্ত চাওয়ার বিষয়ে জানতে চান।
এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হলে কাউন্সিলর ঐ কর্মকর্তার অফিসে বসে দূর্নীতির তীব্র প্রতিবাদ করেন। পরে বিষয়টি ধামা চাপা দিতে প্রভাবশালী দুই কর কর্মকর্তার যোগসাজশে সিটি কর্পোরেশন টঙ্গী অঞ্চলের কর্মচারীরা বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত কলম বিরতি পালন করেন এবং আগামী রোববারও ২ ঘন্টা কলম বিরতিসহ উপরোক্ত কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কর্মসূচী ঘোষনা করেন।
এদিকে দুই কর কর্মকর্তার দূর্নীতিতে অতিষ্ট হয়ে স্থানীয় কল-কারখানার মালিক, সাধারণ শ্রমিক-কর্মচারীরাও আগামী রোববার সকাল ১০ টায় সিটি কর্পোরেশন কার্যালয়ের সামনে পাল্টা অবস্থান ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছে।
এ ব্যাপারে জিসিসি টঙ্গী আঞ্চলিকের নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কবীর আল আসাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সময় অফিসে উপস্থিত ছিলেন না বলে জানান। তবে কর বিভাগের কর্মকর্তাদের দূর্নীতির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, কর নির্ধারণ সংক্রান্ত সাধারণ সভায় রেজুলেশন হলেও তা এখনো কার্যকরী করার মতো কোন কাগজপত্র আমাদের হাতে এসে পৌঁছেনি ফলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।
এ ব্যাপারে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র অধ্যাপক এম.এ মান্নানের মোবাইলে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।
টঙ্গীতে অবস্থিত একাধিক কারখানার মালিক ও শ্রমিকরা জানান, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন হওয়ার পর কর্তৃপক্ষ ওয়ার্ড কাউন্সিলরগণ ও অফিস কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের সমন্বয়ে এক জরুরী সভার মাধ্যমে সিটি কর্পোরেশনে ব্যবসায়িক, আবাসিক এবং শিল্প কলকারখানার বাৎসরিক কর কয়েকগুণ বৃদ্ধি করে একটি রেজুলেশন তৈরি করে। অদ্যাবধি উক্ত রেজুলেশন গেজেট আকারে প্রকাশ বা কোন প্রকার আদেশ জারী করা হয়নি। কিন্তু সিটি কর্পোরেশন টঙ্গী আঞ্চলিক অফিসের কর নির্ধারক মোঃ জাকির হোসেন বিভিন্ন কারখানার মালিক পক্ষের কর দাতাদের রাতের অন্ধকারে কখনো অফিসে, কখনো উত্তরার বিভিন্ন চাইনিজ রেস্তোরায় কিংবা কারখানায় স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে পুর্বের নির্ধারিত কর আদায় করেন। বকেয়া কর পরিশোধ না করলে ট্রেড লাইসেন্স নবায়ণ করা সুযোগ না থাকায় কারখানার মালিকরা বাধ্য হয়েই ওই কর্মকর্তাদের পাতানো ফাঁদে পা দিতে বাধ্য হন।
টঙ্গীস্থ হক এন্ড কোম্পানী লিঃ এর ইলেকট্রিক ইনর্চাজ মোঃ আক্তার হোসেন জানান, কর নির্ধারক মোঃ জাকির হোসেন টু-পাইস কামানোর ধান্ধায় তার নিজস্ব প্রাইভেটকারে সব সময় বিভিন্ন কারখানার কর বিষয়ক ফাইল নিয়ে ঘুরে বেড়ান এবং মালিক পক্ষের সাথে যোগাযোগ করে রাত ৮ টার পর নিজস্ব অফিসে বসে মিল মালিকদের সাথে কর আদায় সংক্রান্ত দফারফা করেন। অনেক সময় তিনি তার মোবাইল ফোনে মালিক পক্ষকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে মালিক পক্ষের লোকদের নিয়ে অভিজাত এলাকার বিভিন্ন চাইনিজ রেস্তোরায় কিংবা কারখানায় স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে পুর্বের নিধারিত কর আদায় করেন। কেউ অগ্রিম কর প্রদান করতে কর আদায়কারী মোঃ সিরাজের নিকট গেলে সে করের টাকা গ্রহন না করে কর নির্ধারক মোঃ জাকির হোসেনের সাথে দেখা করে আসার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
উলেখ্য, গত বুধবার বিকেল সাড়ে ৪ টায় হক এন্ড কোম্পানী লিঃ এর ইলেকট্রিক ইনর্চাজ মোঃ আক্তার হোসেন হক এন্ড কোম্পানী লিঃ এর পূর্ব নির্ধারিত করের ১ কিস্তি মোট ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা নিয়ে কর বিভাগের কর্মকর্তা মোঃ সিরাজের নিকট গেলে বর্তমানে সিটির আওতাধীন কারখানা গুলোর কর বেড়েছে, পূর্বের নির্ধারিত কর নেয়া যাবে না বলে জানান। আর যদি ১০ হাজার টাকা তাকে উৎকোচ প্রদান করা হয় তবে একটা ব্যবস্থা করে দেবেন। আক্তার হোসেন বিষয়টি তাৎক্ষনিক স্থানীয় ৪৬ নং ওর্য়াড কাউন্সিলর মোঃ নুরুল ইসলাম নুরুকে জানালে তিনি ঐ কর্মকর্তার কাছে গিয়ে ১০ হাজার টাকা অতিরিক্ত চাওয়ার বিষয়ে জানতে চান।
এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হলে কাউন্সিলর ঐ কর্মকর্তার অফিসে বসে দূর্নীতির তীব্র প্রতিবাদ করেন। পরে বিষয়টি ধামা চাপা দিতে প্রভাবশালী দুই কর কর্মকর্তার যোগসাজশে সিটি কর্পোরেশন টঙ্গী অঞ্চলের কর্মচারীরা বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত কলম বিরতি পালন করেন এবং আগামী রোববারও ২ ঘন্টা কলম বিরতিসহ উপরোক্ত কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কর্মসূচী ঘোষনা করেন।
এদিকে দুই কর কর্মকর্তার দূর্নীতিতে অতিষ্ট হয়ে স্থানীয় কল-কারখানার মালিক, সাধারণ শ্রমিক-কর্মচারীরাও আগামী রোববার সকাল ১০ টায় সিটি কর্পোরেশন কার্যালয়ের সামনে পাল্টা অবস্থান ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছে।
এ ব্যাপারে জিসিসি টঙ্গী আঞ্চলিকের নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কবীর আল আসাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সময় অফিসে উপস্থিত ছিলেন না বলে জানান। তবে কর বিভাগের কর্মকর্তাদের দূর্নীতির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, কর নির্ধারণ সংক্রান্ত সাধারণ সভায় রেজুলেশন হলেও তা এখনো কার্যকরী করার মতো কোন কাগজপত্র আমাদের হাতে এসে পৌঁছেনি ফলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।
এ ব্যাপারে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র অধ্যাপক এম.এ মান্নানের মোবাইলে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।