রাজীব সরকার : ৯মার্চ রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট কোম্পানি (আরজেএসসি) কর্তৃক এবছরের দূর্নীতি ও প্রতারণার দায়সহ বিভিন্ন অভিযোগে লাইসেন্স আবেদন বাতিল হওয়া ১৭ মাল্টি লেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) কোম্পানির পণ্য বিক্রি ও অর্থ লেনদেন সম্পূর্ণ অবৈধ করা হলেও গাজীপুরে লাইফওয়ে বাংলাদেশ (প্রা:) লিমিটেড তা অব্যাহত রেখেছে।
দেশের কোথাও লাইসেন্স ছাড়া এসব কোম্পানি ব্যবসা পরিচালনা ও নতুন গ্রাহক তৈরি নিষিদ্ধ থাকলেও তা মানছে না লাইফওয়ে। এ কোম্পানি নানা প্রলোভন ও কমিশন দেয়ার আশ্বাসে নতুন গ্রাহক তৈরি, পণ্য বিক্রি ও অর্থ লেনদেনের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। এতে তাদের ফাঁদে পড়ে এলাকার হাজারো গ্রাহক সর্বশান্ত হওয়ার শিকার হচ্ছেন।
লাইফওয়ের গ্রাহক মো. রফিকুল ইসলাম জানান, তিনি সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত একজন সার্জেন্ট। ৮ মাস আগে তিনি এ ব্যবসায় যোগ দিয়েছেন। ‘এ’ গ্রেডে গ্রাহক হতে তাকে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে পণ্য কিনতে হয়েছে। পরবর্তীতে আমাকে আরো নতুন গ্রাহক বাড়াতে হয়েছে। নতুন নতুন গ্রাহকদের নিয়ে এসে এ কার্যালয়ে প্রতিদিন ট্রেনিং দেয়া হচ্ছে। ট্রেনিং দিয়ে এক হাজার টাকায় একটি নির্দেশীকা ও আরো অতিরিক্ত ৩০টাকা করে নেয়া হয়। তিনি আরো জানান, ‘এ’ গ্রেডে ৩০ হাজার, ‘বি’ গ্রেডে ২২ হাজার ও ‘সি’ গ্রেডে ১৮হাজার টাকার পণ্য কিনে তাদের গ্রাহক হতে হয়।
রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট কোম্পানিজ ও ফার্মেসর নিবন্ধক বিজন কুমার বৈশ্য জানান, আরজেএসসি ৬০দিন তদন্ত করে ১৭টি লাইসেন্স আবেদন বাতিল করেছে। নতুন আইনে এমএলএম ব্যবসা চালাতে ২১টি কোম্পানি লাইসেন্সের জন্য আবেদন করলেও এমএলএম ব্যবসার জন্য চারটি কোম্পানি অনুমোদন পায়। যার মধ্যে ‘লাইফওয়ে বাংলাদেশ (প্রা:) লিমিটেড’র নাম নেই। লাইসেন্স আবেদন করেও যারা পাননি তারা এমএলএম আইন অনুযায়ী ৩০দিনের মধ্যে সরকারের কাছে আপিল করতে পারবেন। আপিলের সময়সীমার পরবর্তী ৪৫দিনের মধ্যে শুনানী শেষ করা হবে। এরপর পরবর্তী সিদ্ধান্ত পরবর্তী ৭দিনের মধ্যে জানিয়ে দেয়া হবে। তবে এর মধ্যে কোন কোম্পানি ব্যবসা চালাতে পারবে না। তিনি আরো বলেন, আবেদনকারীদের আপিল শুনানীশেষে মন্ত্রণালয়ে ওই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণের কার্যক্রম চলছে।
‘লাইফওয়ে বাংলাদেশ (প্রা:) লিমিটেড’র গাজীপুরের চান্দনা-চৌরাস্তার দক্ষিণে শহীদ হুরমত আলী ভবনে স্থাপিত মডেল এজেন্সীর চেয়ারম্যান মো. মুকুল গাজী জানান, লাইসেন্স আবেদন বাতিল হওয়ার পর তারা সরকারের কাছে আপীল করেছেন। এ বছরের ২৯ এপ্রিল তাদের লাইসেন্স আবেদনের আপীল শুনানী হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত ওই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি। তবে আমরা এ ব্যবসার মাধ্যমে শত শত লোকের কর্মসংস্থান করে যাচ্ছি।
একই কথা জানালেন, ওই কার্যালয়ের ডায়মন্ড কর্মকর্তা রাশেদুর রহমান সুমন।
আপিল শুনানীর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত লাইসেন্স আবেদন বাতিল হওয়া ‘লাইফওয়ে বাংলাদেশ (প্রা:) লিমিটেড’র কার্যক্রম বন্ধ না রেখে চালানোর বিষযটি জানতে চাইলে তিনি বলেন, এমএলএম ব্যবসা বন্ধ রাখার খবর তার জানা নাই।
এ ব্যাপারে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক নূরুল ইসলাম জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখতে একজন ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
[ সংবাদ চুরি করে অন্য কোথাও প্রকাশ করা নিষেধ ]
লাইফওয়ের গ্রাহক মো. রফিকুল ইসলাম জানান, তিনি সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত একজন সার্জেন্ট। ৮ মাস আগে তিনি এ ব্যবসায় যোগ দিয়েছেন। ‘এ’ গ্রেডে গ্রাহক হতে তাকে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে পণ্য কিনতে হয়েছে। পরবর্তীতে আমাকে আরো নতুন গ্রাহক বাড়াতে হয়েছে। নতুন নতুন গ্রাহকদের নিয়ে এসে এ কার্যালয়ে প্রতিদিন ট্রেনিং দেয়া হচ্ছে। ট্রেনিং দিয়ে এক হাজার টাকায় একটি নির্দেশীকা ও আরো অতিরিক্ত ৩০টাকা করে নেয়া হয়। তিনি আরো জানান, ‘এ’ গ্রেডে ৩০ হাজার, ‘বি’ গ্রেডে ২২ হাজার ও ‘সি’ গ্রেডে ১৮হাজার টাকার পণ্য কিনে তাদের গ্রাহক হতে হয়।
রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট কোম্পানিজ ও ফার্মেসর নিবন্ধক বিজন কুমার বৈশ্য জানান, আরজেএসসি ৬০দিন তদন্ত করে ১৭টি লাইসেন্স আবেদন বাতিল করেছে। নতুন আইনে এমএলএম ব্যবসা চালাতে ২১টি কোম্পানি লাইসেন্সের জন্য আবেদন করলেও এমএলএম ব্যবসার জন্য চারটি কোম্পানি অনুমোদন পায়। যার মধ্যে ‘লাইফওয়ে বাংলাদেশ (প্রা:) লিমিটেড’র নাম নেই। লাইসেন্স আবেদন করেও যারা পাননি তারা এমএলএম আইন অনুযায়ী ৩০দিনের মধ্যে সরকারের কাছে আপিল করতে পারবেন। আপিলের সময়সীমার পরবর্তী ৪৫দিনের মধ্যে শুনানী শেষ করা হবে। এরপর পরবর্তী সিদ্ধান্ত পরবর্তী ৭দিনের মধ্যে জানিয়ে দেয়া হবে। তবে এর মধ্যে কোন কোম্পানি ব্যবসা চালাতে পারবে না। তিনি আরো বলেন, আবেদনকারীদের আপিল শুনানীশেষে মন্ত্রণালয়ে ওই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণের কার্যক্রম চলছে।
‘লাইফওয়ে বাংলাদেশ (প্রা:) লিমিটেড’র গাজীপুরের চান্দনা-চৌরাস্তার দক্ষিণে শহীদ হুরমত আলী ভবনে স্থাপিত মডেল এজেন্সীর চেয়ারম্যান মো. মুকুল গাজী জানান, লাইসেন্স আবেদন বাতিল হওয়ার পর তারা সরকারের কাছে আপীল করেছেন। এ বছরের ২৯ এপ্রিল তাদের লাইসেন্স আবেদনের আপীল শুনানী হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত ওই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি। তবে আমরা এ ব্যবসার মাধ্যমে শত শত লোকের কর্মসংস্থান করে যাচ্ছি।
একই কথা জানালেন, ওই কার্যালয়ের ডায়মন্ড কর্মকর্তা রাশেদুর রহমান সুমন।
আপিল শুনানীর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত লাইসেন্স আবেদন বাতিল হওয়া ‘লাইফওয়ে বাংলাদেশ (প্রা:) লিমিটেড’র কার্যক্রম বন্ধ না রেখে চালানোর বিষযটি জানতে চাইলে তিনি বলেন, এমএলএম ব্যবসা বন্ধ রাখার খবর তার জানা নাই।
এ ব্যাপারে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক নূরুল ইসলাম জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখতে একজন ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
[ সংবাদ চুরি করে অন্য কোথাও প্রকাশ করা নিষেধ ]