মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হক বলেছেন, ইলিশ মাছ উত্পাদনের সফলতা ধরে রাখতে দেশের ১৫টি জেলায় ২ লাখ ২৪ হাজার ১০২টি জেলে পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা করেছে সরকার। এছাড়া ২০১২-১৩ অর্থবছরে মৎস্য ও মত্স্যজাত পণ্য রপ্তানি আয় হয়েছে ৪ হাজার ৩১৩ কোটি টাকা।
মঙ্গলবার মৎস্য অধিদফতরের সভাকক্ষে জাতীয় মত্স্য সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মত্স্য অধিদফতরের মহাপরিচালক সৈয়দ আরিফ আজাদ, বাংলাদেশ মত্স্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মো. জাহের প্রমুখ।
মন্ত্রী বলেন, বিশ্বের ৬০ শতাংশ ইলিশ মাছ বাংলাদেশে উত্পাদন হয়। আর দেশে মোট মত্স্য উত্পাদনে ইলিশের অবদান শতকরা ১০ শতাংশ। জিডিপিতে অবদান রাখছে ১ শতাংশ হারে। অন্যদিকে ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ইলিশের উত্পাদন ছিল ৩ লাখ মেট্রিক টন। সেটা বেড়ে ২০১২-১৩ অর্থবছরে উত্পাদন সাড়ে ৩ মেট্রিক টনে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, মত্স্য খাত অতীতের চেয়ে অনেক ভালো অবস্থানে রয়েছে। এই খাতে আরও সফলতা নিয়ে আসার জন্য অনেক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। গত পাঁচ বছরে মত্স্য উত্পাদনে গড় প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দেশের মোট জনগোষ্ঠীর মধ্যে প্রায় ১ কোটি ৭১ লাখ জনসাধারন মত্স্য কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত। ২০০৮-০৯ সালে উত্পাদন ছিল ২৭ লাখ ১ হাজার মেট্রিক টন। ২০১২-১৩ অর্থ বছরে সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন। ২০২১ সালে ৪৫ লাখ ৫২ হাজার মেট্রিক টন মাছ উত্পাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে দুই লাখ জেলেকে পরিচয়পত্র দেয়া হয়েছে। ২০১৫ সালের মধ্য সম্ভাব্য ২০ লাখ জেলের পরিচয়পত্র দেয়া সম্ভব হবে। সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে মত্স্য সপ্তাহ উপলক্ষে সকালে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়।
'অন্ন বস্ত্র বাসস্থান, মাছ চাষে সমাধান' এই স্লোগান সামনে নিয়ে আজ থেকে শুরু হচ্ছে জাতীয় মত্স্য সপ্তাহ। চলবে ৮ জুলাই পর্যন্ত। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে 'জাতীয় মত্স্য সপ্তাহ ২০১৪'-এর উদ্বোধন করবেন।
COMMENTS