ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরে ব্যাটারি এবং ইঞ্জিনচালিত রিকশা চলাচলের লাইসেন্স দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে করা পৃথক চারটি রিট আবেদন খারিজ (রুল ডিসচার্জ) করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মোঃ খুরশীদ আলম সরকারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন। এ রায়ের ফলে সিটি কর্পোরেশনগুলোতে ব্যাটারি ও ইঞ্জিনচালিত রিকশা চলাচলের কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন সিটি কর্পোরেশনের আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও ব্যারিস্টার তৌফিক ইনাম টিপু। তাদের মতে, এ ধরনের রিকশা চললে তা হবে অবৈধ এবং আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী তা জব্দও করতে পারবেন।
সূত্র জানিয়েছে, সিটি কর্পোরেশনগুলোতে বর্তমানে হাজার হাজার ব্যাটারি ও ইঞ্জিনচালিত রিকশা চলাচল করে। বিভিন্ন সময়ে এ ধরনের রিকশা চলাচলের অনুমতি (লাইসেন্স) চেয়ে সিটি কর্পোরেশনগুলোতে আবেদন করা হয়। কিন্তু ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও গণপরিবহন উপবিধি-১৯৭৩ অনুযায়ী সিটি কর্পোরেশন এ ধরনের ইঞ্জিন ও ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচলের অনুমতি দিতে পারে না। এই আইনি বাধ্যবাধকতা থেকে সিটি কর্পোরেশনগুলো এ ধরনের রিকশা চলাচলের অনুমতি দেয়নি।
পরে চলতি বছরের প্রথম দিকে ঢাকা জেলা রিকশা ওনার্স কো-অপারেটিভ সোসাইটির সভাপতি মোঃ ফজলুর রহমান, ঢাকা সিটি কর্পোরেশন মুক্তিযোদ্ধা রিকশা-ভ্যান মালিক সমিতির চেয়ারম্যান আলহাজ এমএ সোবাহান, বাংলাদেশ অটোবাইক লেবার ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইউনুস আলী, ঢাকা জেলা আওয়ামী রিকশা-ভ্যান মালিক সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোস্তফা ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের রিকশা মালিকদের সংগঠনের পক্ষে খায়রুল ইসলাম হাইকোর্টে পৃথক পৃথক রিট আবেদন করেন। রিটগুলো দায়েরের পর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারির পাশাপাশি অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ দেন।
আইনজীবীরা জানান, রুলে লাইসেন্সের বিষয়ে সিটি কর্পোরেশনের কাছে করা দরখাস্তগুলো কেন নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। একই সঙ্গে দরখাস্তগুলো নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত চলাচলে বাধা প্রদান না করতে নির্দেশ দেয়া হয়। বৃহস্পতিবার পৃথক পৃথকভাবে জারি করা এসব রুলের ওপর শুনানি শেষে আদালত চারটি রুল খারিজ করে রায় দেন। ঢাকা জেলা আওয়ামী রিকশা-ভ্যান মালিক সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোস্তফার করা রিট আবেদনটির রায় নট টুডে করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোঃ আলামিন সরকার।