কালিয়াকৈর উপজেলার নিশিন্দাহাটি এলাকায় রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে ডাকাতির ঘটনায় অভিযুক্ত চার ডাকাতকে গ্রাম্য শালিশে জুতা পেটা করলেন উক্ত ইউ পি চেয়ারম্যান ইছামউদ্দিন। অভিযুক্তরা হলো, ওই এলাকার হাসিনা মিয়ার ছেলে লতিব (২৫), মহর আলীর ছেলে হেলাল(২৮), ফালু বেপারীর ছেলে শরীফ (২৬), নায়েব আলীর ছেলে নজরুল।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১২ জুলাই রাত ১০টার দিকে ডুবাইল এলাকার গো-ব্যবসায়ী ছাত্তার হোসেন ছত্তারকে নিশিন্দাহাটি এলাকায় ব্যারিকেড দিয়ে নগত ১৭ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন নিয়ে যায় একদল ডাকাত। ছত্তার ডাকাতদের কয়েক জনকে চিনতে পারে।
সে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি ও ইউপি চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানায়। ঘটনার খবর ছড়িয়ে পরলে এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এসময় ডাকাতরা কয়েক দিনের জন্য গা ঢাকা দেয়। বুধবার রাতে ডাকাতদের একজন (লতিব) এলাকায় আসলে স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করে। তার কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে আরো তিনজনকে খুজে বের করে এলাকাবাসী।
তারপর তারা ইউপি চেয়ারম্যান ও উক্ত ইউপি ওয়ার্ড সদস্য আক্তার হোসেনকে খবর দেয়। পরে চেয়ারম্যান ও মেম্বার পুলিশকে খবর না দিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রাম্য শালিশে অভিযুক্তদের কয়েকটা জুতাপেটা ও ৪০ হাজার টাকা করে জরিমানা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়। ডাকাতদের দেওয়া তথ্য মতে তাদের দলের সরদার ওই এলাকার কালো ব্যপারীর ছেলে হাসান (৩০)। তাকে খুজে পাওয়া যায়নি। তবে শালিশে হাসানের পরিবারের লোকজনকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে হাসানকে মেম্বারের কাছে হস্তান্তর করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ব্যর্থ হলে তাকে যেখানে পাবে এলাকার লোক গণ ধোলাই দিয়ে মেরে ফেলার কথাও বলেন চেয়ারম্যান।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্তরা ইউপি সদস্য আক্তার হোসেনের আত্মীয়। সে জন্য তাদের কোন কঠিন শাস্তি বা পুলিশে দেওয়া হয় নি।
এব্যপারে ইউপি সদস্য আক্তার হোসেন বলেন, “ওরা আমার আপন লোক। বিচার কইরা কিছু মারধর কইরা ছাইড়া দিছি। বুঝেনইতো, কি হইবো নিউজ কইরা।”
ইউপি চেয়ারম্যান ইছামউদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ডাকাত ধরেছে এলাকাবাসী। শালিশ করে সমাধান করলাম।